আবারও ফাঁসলেন রোনালদো
>কর ফাঁকির পুরো অর্থ পরিশোধ করেও মুক্তি মেলেনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। আবারও স্প্যানিশ আদালতের রোষানলে পরেছেন তিনি
রাশিয়া বিশ্বকাপে স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন স্প্যানিশ আদালত। স্পেনের আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি প্রথমবারের মতো ২ বছর বা এর চেয়ে কম মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে তাঁকে কারাভোগ করতে হয় না। জরিমানা দিয়েই সেই মামলা থেকে মওকুফ পাওয়া যায়, যেমনটা আগে লিওনেল মেসি পেয়েছিলেন। কিন্তু জরিমানা দিলেও মুক্তি মেলেনি রোনালদোর। আবারও আদালতে যেতেই হচ্ছে রোনালদোকে।
রোনালদোকে যখন এই জরিমানা করা হয়েছিল, তখন তিনি ছিলেন রাশিয়াতে। বিশ্বকাপে ব্যস্ত থাকায় সে সময় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি পর্তুগিজ তারকা। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার আগে পাওনা পুরো টাকা মিটিয়ে দিয়ে এসেছিলেন রোনালদো। এরপর আর কোনো সমস্যা চাননি বলেই সব কাজ সেরে ফেলেছেন তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমেই। সে সময় তাঁর জরিমানার অর্থ গ্রহণ করেছিলেন আদালত।
২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে নিজ ছবি স্বত্ব থেকে আয় করা অর্থ নিজের খতিয়ানে তুলে ধরেননি রোনালদো। যে কারণে তাঁকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল এই জরিমানার। জরিমানার ১৪.৮ মিলিয়ন অর্থ পরিশোধ করলেও কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। কারণ, স্প্যানিশ আদালতে যখন কোনো অপরাধীর শুনানি হয় অথবা জরিমানা পরিশোধ করা হয়, তখন আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। আদালতে উপস্থিত থেকে বিচারকের সম্মুখে তাঁকে সম্পূর্ণ বিচার শুনতে হবে। কিন্তু রোনালদো তা করেননি। বরং তাঁর আইনজীবী আরও পৌনে ৪ লাখ ইউরো দিয়ে তা থেকে রোনালদোর মুক্তির ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন। আদালত তা মেনে নেননি। অগত্যা রোনালদোকে বিচারের জন্য স্পেনে আসতেই হচ্ছে।
আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী রোনালদোকে আগামী ১৪ জানুয়ারির মধ্যে বিচারকের সামনে উপস্থিত হতে হবে, নইলে তাঁর বিপক্ষে আদালত অবমাননার মামলা হবে। তবে স্পেনে না এসে ইতালিতে থেকেও কাজ সারতে পারেন জুভেন্টাস তারকা। রোনালদোর আরেক সতীর্থ ফ্যাবিও কোয়েন্ত্রাও কর ফাঁকির মামলায় শাস্তি পেয়েছিলেন। তাঁকেও আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। সশরীরে না এসে তিনি আদালতের সামনে উপস্থিত ছিলেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। রোনালদো চাইলে এভাবে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেন।