রাজনীতিতে ক্রিকেটারদের নাক গলানোর দরকার নেই, বললেন মিয়াঁদাদ
>কাশ্মীর ইস্যুতে শহীদ আফ্রিদির করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ। তিনি মনে করেন, ক্রিকেটারদের ক্রিকেট নিয়েই থাকা উচিত, স্পর্শকাতর রাজনৈতিক বিষয়ে নাক গলানোর দরকার নেই
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কাজ খেলার মাধ্যমে বহির্বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা। রাজনীতিসহ অন্যান্য স্পর্শকাতর বিষয়ে নাক গলিয়ে বিতর্কে জড়ানোর দরকার নেই ক্রিকেটারদের—এমনটাই মনে করেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি জাভেদ মিয়াঁদাদ।
কিছুদিন আগে পাকিস্তানের আরেক সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি কাশ্মীর ইস্যুতে একটা বক্তব্য দেন, যা ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আর এতেই চটেছেন মিয়াঁদাদ, ‘আমি বলতে চাই, আফ্রিদি যা বলেছে তা একদমই অনাকাঙ্ক্ষিত, সে চাইলে এটা না–ও বলতে পারত।’
কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান বিবাদ নতুন নয়। এই বিবাদে আফ্রিদির মতো খ্যাতিমান খেলোয়াড়ের নাক গলানোতেই বিরক্ত মিয়াঁদাদ। ক্রিকেটারদের স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে মতামত না দেওয়াই উচিত, এমনটাই মনে করছেন মিয়াঁদাদ, ‘রাজনৈতিক ও অন্যান্য স্পর্শকাতর বিষয়ে ক্রিকেটারদের নাক গলানোর কোনো দরকার নেই। হ্যাঁ, তারা যদি খেলা ছেড়ে দেয়, পরে অন্য কোনো পেশায় চলে যায়, তবে তারা করতে পারে। যতক্ষণ তারা ক্রিকেটে আছে, তাদের অখণ্ড মনোযোগ ক্রিকেটেই থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।’
গত বুধবার একটি ভিডিওর কিছু অংশ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই ভিডিওতে আফ্রিদিকে বলতে দেখা যায়, ‘আমার মনে হয় না কাশ্মীরকে পাকিস্তানের দরকার আছে। কাশ্মীরের কর্তৃত্ব ভারতকেও দেওয়ার দরকার নেই। কাশ্মীরের একটা আলাদা সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।’ এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই মিয়াঁদাদ ক্রিকেটারদের পরামর্শ দিলেন রাজনীতি থেকে দূরে থাকার।
এদিকে আফ্রিদি কাল টুইট করে তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করেছেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই আমার একটা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ভিডিওটা সম্পূর্ণ নয়। অসম্পূর্ণ একটা ভিডিও ভারতীয় মিডিয়ায় প্রসঙ্গ-বহির্ভূত হয়ে আমার নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, আমি আমার দেশকে যথেষ্ট ভালোবাসি আর কাশ্মীরিদের জীবনযুদ্ধ সম্পর্কে আমার বেশ ভালোই জানা আছে। মানবতার জয় হোক, কাশ্মীরিরা তাদের অধিকার ফেরত পাক। কাশ্মীর বহুদিন ধরেই একটা বিতর্কের বিষয় হয়ে আছে, ভারতের অধীনে তারা অনেক যন্ত্রণা সহ্য করে আছে। অন্য পাকিস্তানিদের মতো আমিও তাদের স্বাধীনতাসংগ্রামকে সমর্থন জানাই, কেননা কাশ্মীর পাকিস্তানের।’