বাংলাদেশের কোচ হওয়ার যোগ্যতা হারাতে পারেন জেমি ডে !
>ফিফার নতুন নিয়মে বিপাকে পড়তে হতে পারে বাংলাদেশকে। ‘প্রো’ লাইসেন্স না থাকলে কেউই কোনো জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নিতে পারবেন না। বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমি ডে’র প্রো লাইসেন্স সনদ নেই।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে বোধ হয় একটু ঝামেলাতেই পড়ে গেলেন! ইংলিশ এই কোচের ঝামেলার নাম ‘প্রো লাইসেন্স’ সনদ।
জাতীয় দলের কোচ হিসেবে যোগ্যতার নতুন মানদণ্ড ঘোষণা করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। যেখানে স্পষ্ট বলা আছে ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় দলের কোচদের ন্যূনতম প্রো লাইসেন্স সনদ থাকতে হবে। বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে’র যা নেই। ৩৮ বছর বয়সী এই কোচের আছে ‘এ’ লাইসেন্স। ফলে প্রো লাইসেন্স অর্জন করতে না পারলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ডাগআউটে আর দাঁড়াতে পারবেন না তিনি। বাংলাদেশকে খুঁজতে হবে নতুন কোচ।
চলতি বছর মে মাসে এক বছরের জন্য জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় জেমিকে। আগে কখনোই কোনো দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা না থাকা জেমিকে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েই বাজিমাত করে দেখিয়েছেন। এশিয়ান গেমসে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেওয়ার আগ পর্যন্ত পুরো বাংলাদেশ খেলেছে দুর্দান্ত। কাতারের মতো দলকে হারানো আর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র ছিল বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য নতুন এবং আনন্দদায়ক এক অভিজ্ঞতা।
এর পরে সাফ ফুটবলে স্বাগতিক বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলতে ব্যর্থ হলেও হারিয়েছিল ভুটান ও পাকিস্তানকে। আর সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে লাওসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলেছে লাল-সবুজরা। ফিলিপাইন ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে টানা দু ম্যাচ হারলেও বাংলাদেশের খেলায় উন্নতিটা স্পষ্টই বোঝা গেছে। জেমিকে নিয়ে তাই নতুন আশা জেগেছে দেশের ফুটবল প্রেমীদের। এমন অবস্থায় ফিফার নতুন নিয়মে জেমিকে হারিয়ে বসারই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ ইতিমধ্যেই প্রো লাইসেন্স করার জন্য ছুটির আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ‘২০১৯ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে প্রো লাইসেন্স করার জন্য ইতিমধ্যেই ছুটির দরখাস্ত করে রেখেছেন জেমি। আর আমরাও চেষ্টা করছি কোর্সটা বাংলাদেশেই আয়োজন করতে। যাতে ছুটি নিয়ে তাঁকে বাইরে যেতে না হয়।’
ফিফার নতুন নিয়মে সহকারী কোচ, গোলরক্ষক কোচ ও ফিটনেস কোচের যোগ্যতার মানদণ্ডে পরিবর্তন এসেছে। সহকারী কোচ হতে থাকতে হবে ন্যূনতম ‘এ’ লাইসেন্স আর গোলরক্ষক কোচের থাকতে হবে লেভেল টু। আশার কথা হলো নিজ খরচে লেভেল টু কোর্স করার জন্য এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়ন।