জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতলে কিছু না, হারলেই শেষ
জিম্বাবুয়ে কি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য? ব্যাপারটা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করেন এই সিরিজও বড় চ্যালেঞ্জ। আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন আসল কথাটিই, ‘প্রতি ম্যাচের মতো জিম্বাবুয়েও চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য। কারণ, এই ম্যাচটা জিতলে সবাই বলবে এটাই তো স্বাভাবিক, তবে হারলে পুরো গল্পটাই অন্যরকম হয়ে যাবে।’
মাশরাফি ঠিকই বলেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটা এ কারণেই একটু অন্যরকম। এই সিরিজে বাংলাদেশ জিতলে কেউ আলাদা করে খেলোয়াড়দের প্রশংসা করবেন না। সবাই বলবেন জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জেতাটাই তো স্বাভাবিক, কিন্তু কোনো কারণে দল হারলে সমালোচনায় বিদ্ধ হবেন ক্রিকেটাররা। সুতরাং কোনো ঝুঁকি নিতে নারাজ অধিনায়ক মাশরাফি। তাই জিম্বাবুয়েকে হালকা করে দেখার লাইনের হাঁটতে চান না তিনি। সর্বশেষ এশিয়া কাপে প্রতিটি ম্যাচে যে চ্যালেঞ্জটা ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেটিই থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘চ্যালেঞ্জটা তো প্রতি ম্যাচে যেটি থাকে সেটিই। সবার প্রত্যাশা যেটা যে আমরা জিতব, সেটা খুবই স্বাভাবিক। তবে আমার কাছে মনে হয় অন্যান্য দলের বিপক্ষে যে চ্যালেঞ্জটা থাকে, বিশেষ করে শেষ টুর্নামেন্ট, এশিয়া কাপে যে চ্যালেঞ্জটা ছিল, সেটিই থাকবে।’
বাংলাদেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের রেকর্ডও দারুণ। এই দলকে হারাতে হলে শতভাগ দেওয়ার বিকল্প দেখছেন না ওয়ানডে দলপতি, ‘জিম্বাবুয়ের সিনিয়র ক্রিকেটাররা ফিরেছে। বাংলাদেশের মাটিতে ওদের রেকর্ড খুব সম্ভবত নিজেদের মাঠের পরই বেশ ভালো। সুতরাং জেতার জন্য আমাদের শতভাগ দিয়েই খেলতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে আমাদের সম্ভব সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে।’
জিম্বাবুয়েকে হারাতে দলের প্রতিটি খেলোয়াড়ই মুখিয়ে সেটিই জানিয়েছেন তিনি, ‘অনেক দিন পর ঘরের মাঠে খেলতে নামছি। অবশ্যই সবাই আত্মবিশ্বাসী। পারফরম করার জন্য সর্বোচ্চ যে প্রস্তুতিটা নেওয়া যায়, সবাই সেটিই নিয়েছে। আশা করছি কালকের খেলায় সবাই যেভাবে খেলতে চায়, সেভাবেই খেলতে পারবে।’
সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালকে মিস করলেও এই দুই মহীরূহ তারকার অনুপস্থিতিটা স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন মাশরাফি, ‘সাকিব আর তামিম যে থাকবে না, এটা আগে থেকেই সবাই জানে। তাই দলের সবাই সেভাবেই প্রস্তুতিটা নিয়েছে।’