রশিদের আঙুলে খেপেছে পাকিস্তান
>পাকিস্তানের বিপক্ষে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে রশিদ খানকে জরিমানা করেছে আইসিসি। পাকিস্তানের সমর্থকেরাও এই আফগান লেগ স্পিনারের ওপর খেপেছে
শোয়েব মালিক যে ম্যাচে সৃষ্টি করলেন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের প্রতি সহমর্মিতার উদাহরণ, রশিদ খান সেই ম্যাচেই ছড়ালেন বিতর্ক!
পাকিস্তানের ইনিংসে তখন ৪৭তম ওভারের খেলা চলছে। ওই ওভার শুরুর আগে ২৪ বলে ৩৯ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। রশিদ খানের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে স্ট্রাইক বদল করেন শোয়েব মালিক। পরের বলে রশিদের গুগলি ৯৬ মিটার দূরে আছড়ে ফেলেন আসিফ আলী। ছক্কা! পাকিস্তানের ইনিংসে লেজের দিকে কোনো ব্যাটসম্যানের কাছে ছক্কা হজম করায় মেজাজ বোধ হয় কিছুটা চড়ে গিয়েছিল রশিদের। কিন্তু তাঁর পরের বলে লং অফে আফতাবের তালুবন্দী হন আসিফ। আনন্দের আতিশয্যে আঙুল ঘোরাতে ঘোরাতে আসিফের চোখে চোখ রেখে তাঁকে বিদায়ের পথটা দেখিয়ে দেন রশিদ। খেলাধুলার ভাষায় যাকে বলে ‘সেন্ড অফ’।
নিজের পরের ওভারেও ঠিক একই কাণ্ড করেন রশিদ। তাঁর তৃতীয় বলে আফগান লেগ স্পিনারকে হাঁকিয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন মোহাম্মদ নওয়াজ। আসিফের মতো নওয়াজকেও একইভাবে ‘সেন্ড অফ’ দেখান রশিদ। তাঁর এমন আচরণ পাকিস্তানের সমর্থকেরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। টুইটারে তাই আফগান লেগির মুণ্ডুপাত করছে পাকিস্তানের সমর্থকেরা। মঈন নামে এক সমর্থকের টুইট, ‘রশিদ ভালো বোলার কিন্তু তাঁর উদ্ধত আচরণের খেসারতগুণে ম্যাচটা হারল আফগানিস্তান। নওয়াজকে ফেরানোর পর তাঁর আচরণে সেটি প্রকাশ পেয়েছে, তবে পরের বলেই ছক্কা হজম করেছে ৯ নম্বর ব্যাটসম্যানের কাছে। বিনয়ী থাকো রশিদ, তুমি শেন ওয়ার্ন নও।’
হামজা নামের আরেক সমর্থকের টুইট, ‘রশিদ খান নওয়াজকে আঙুল ঘুরিয়ে “বেরিয়ে যাও” ইঙ্গিত করায় মেজাজ হারিয়ে ফেলেছি। হাসান আলী উচিত জবাবই দিয়েছে।’ অন্য এক ভক্তের প্রতিক্রিয়া, ‘আমাদের কাছ থেকে ক্রিকেট শিখে আজ আমাদের দিকেই আঙুল তুলছ! নওয়াজের দিকে তোমার আঙুল তোলা ভুলতে পারছি না রশিদ।’ অথচ এই ম্যাচেই পাকিস্তান জেতার পর দলটির ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক প্রতিপক্ষকে সম্মান ও সহমর্মিতা জানানোর অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেন। শেষ ওভারে হারের কষ্টে বোলার আফতাব আলী কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁকে অন্তরের ভালোবাসা আর স্নেহ নিংড়ে দিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছেন শোয়েব।
আইসিসি অবশ্য রশিদের এই আচরণ আমলে নিয়েছে। আচরণবিধির ২.১.৭ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এই আফগান তারকা। এ জন্য ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ অর্থ জরিমানার সঙ্গে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে রশিদের আমলনামায়।