ব্রাজিলের স্থায়ী অধিনায়ক নেই কেন?
>ব্রাজিল দলে নির্দিষ্ট কোনো স্থায়ী অধিনায়ক নেই। এটা কোচ তিতের একধরনের কৌশলই
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অধিনায়ক কে?
উত্তরটা কারও জানা নেই। জানার কোনো কারণও নেই, ব্রাজিলের তো কোনো স্থায়ী অধিনায়কই নেই। আজ একজনের হাতে বাহুবন্ধনী তো কাল আরেকজনের হাতে। প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেছিলেন মার্সেলো। দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে সেই বাহুবন্ধনী দেখা গেছে থিয়াগো সিলভার হাতে। ব্রাজিলের অধিনায়কত্বে পরিবর্তন আসছে আজও। কোচ তিতে আজ মিরান্দার হাতে তুলে দেবেন অধিনায়কত্বের বন্ধনী।
কিন্তু তাদের কোনো স্থায়ী অধিনায়ক নেই কেন? ২০১৬ সালে দায়িত্ব নিয়ে দলের স্থায়ী অধিনায়কত্বের বিষয়টি তুলে দিয়েছেন কোচ তিতে। ব্রাজিলের এই ‘প্রফেসর’ খ্যাত কোচ মনে করেন, অধিনায়কত্ব মানেই বাড়তি চাপ। আর এই চাপ নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের ওপর না চাপানোই ভালো। ফলটা তো পাওয়া যাচ্ছে।
তিতের অধীনে ২৩ ম্যাচ খেলে ১৮টি জয় পেয়েছে ব্রাজিল। আর চারটি ড্র করে মাত্র একটি ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে তারা। একজন কোচের জন্য এর চেয়ে ভালো পরিসংখ্যান আর হয় নাকি! এই ২৩ ম্যাচে ব্রাজিল দলের অধিনায়কত্ব করেছেন মোট ১৭ জন খেলোয়াড়। সর্বোচ্চ চারটি ম্যাচে ছিলেন চোটের জন্য বিশ্বকাপ খেলতে না পারা দানি আলভেজ। খেলোয়াড়দের মধ্যে একধরনের দায়িত্ববোধ তৈরির ব্যাপারটিও তিতে সেরেছেন এর মাধ্যমে।
অথচ কী টালমাটাল অবস্থাতেই না ব্রাজিল দলের হাল ধরেছিলেন তিতে। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলের বড় হারের পর ব্রাজিলীয় ফুটবল যেন পথ হারিয়েছিল। দুঙ্গা ৬ ম্যাচ দায়িত্বে ছিলেন, সে সময় ব্রাজিল জিতেছিল মাত্র দুটিতে। রিও অলিম্পিকে মানো মেনেজেসের অধীনে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক সোনা জয়ের পর জাতীয় দলের হাল ধরেন তিতে। এরপর থেকেই আমূল পাল্টে গেল গোটা দল। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দুর্দান্ত খেলেই চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নেয়। তিতে বিশ্বকাপে পাখির চোখ করেছেন ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়ক ব্যবহার করেই।