মেসিরা নাস্তানাবুদ এক সোনালি প্রজন্মের কাছে?

আর্জেন্টিনাকে হারানোর পর লভরেন। ছবি: টুইটার
আর্জেন্টিনাকে হারানোর পর লভরেন। ছবি: টুইটার
>

১৯৯৮ বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন সুকার-বোবান-প্রসিনেস্কিদের সেই প্রজন্ম। তারপর এবারই প্রথম বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করল ক্রোয়েশিয়া। দলটির ডিফেন্ডার দেজান লভরেনের দাবি, তাঁদের এই দলটা সুকার-বোবানদের দলের চেয়ে ভালো

‘সোনালি প্রজন্ম’—কথাটা খেলাধুলায় এত বেশি ব্যবহৃত হয়েছে যে ‘ক্লিশে’ হয়ে পড়েছে। ফুটবলে তো এটি বহুল পরিচিত শব্দ। হাঙ্গেরিতে পুসকাস-ককসিস, হল্যান্ডে ক্রুইফ-নেসকেন্স, চেক প্রজাতন্ত্রে নেদভেদ-রসিস্কি কিংবা পর্তুগালে ফিগো-কস্তাদের ‘সোনালি প্রজন্ম’ দেখেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। এমন একটা সোনালি প্রজন্ম পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়াও। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ মনে পড়ে? সেই যে ডেভর সুকার, জভোনিমির বোবান, রবার্ট প্রসিনেস্কিদের প্রজন্ম—যাঁরা স্বাধীন ক্রোয়েশিয়ার অভিষেক বিশ্বকাপেই নাম লিখিয়েছিল সেমিফাইনালে। মডরিচ-রাকিতিচদের প্রজন্ম কি সেই সোনালি প্রজন্মের চেয়ে ভালো?

এই বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার মাত্র দুটি ম্যাচ বিচারে সেই তুলনায় যাওয়া কঠিন। তবে দেজান লভরেনের দাবি, তাঁদের এই দলটা ১৯৯৮ বিশ্বকাপে সুকার-বোবানদের প্রজন্মের চেয়েও ভালো। কাল আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় ওঠার পর এই দাবি করেছেন ক্রোয়াট ডিফেন্ডার লভরেন। তাঁর ভাষায়, ‘১৯৯৮-এর সেই দলটার চেয়ে আমরা ভালো করতে পারি। দেখি কী ঘটে। আমি মনে করি, সেই দলটার চেয়ে আমাদের এই দলে ভালো খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশি।’

প্রথম ম্যাচে নাইজেরিয়াকে ২-০ গোলে হারায় লভরেন-মডরিচরা। আর কাল তো আর্জেন্টাইন রক্ষণভাগ নিয়ে তাঁরা ছেলেখেলাই করেছেন! এই ম্যাচের পর মডরিচ-রাকিতিচরাই ক্রোয়েশিয়ার সেরা ফুটবল প্রজন্ম কি না, সেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। মডরিচরা কিন্তু সে পথেই হাঁটছেন। ’৯৮ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম শেষ ষোলোয় উঠল ক্রোয়েশিয়া।

আইসল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে ক্রোয়েশিয়া। তাতে শেষ ষোলোয় তারা এড়াবে ফ্রান্সকে।। লভরেন কিন্তু নিজেদের এখনো ‘আন্ডারডগ’ হিসেবেই দেখছেন, ‘কোনো সহজ ম্যাচ নেই। জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স এখনো আছে। আমরা আন্ডারডগ—সেটাই ভালো।’