খেলল পেরু, বাদ পড়লও পেরু
>ইয়েকাতেরিনবুর্গে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। ৩৪ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
বল পায়ে থাকবে, স্কিল মুগ্ধ করবে, দেখার মতো কিছু আক্রমণও হবে। কিন্তু কেন যেন কাঙ্ক্ষিত গোল পাবে না!
লাতিন আমেরিকার দল হিসেবে পেরুর মধ্যেও এ বৈশিষ্ট্য দেখা যাবে না, তা কী করে হয়! পুরো ম্যাচে কী দারুণ খেলল, অথচ ম্যাচটা হেরে মাঠ ছাড়তে হলো। ইয়েকাতেরিনবুর্গে ফ্রান্সের কাছে ১-০ গোলে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত পেরুর। আর ফ্রান্স উঠে গেল দ্বিতীয় রাউন্ডে। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন গ্রুপপর্বে শেষ হলো পেরুর।
১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কাছে হেরেছিল ফ্রান্স। এরপর কোনো বিশ্বকাপেই লাতিন আমেরিকার কোনো দলের কাছে তারা হারেনি। পেরুকে হারিয়ে রেকর্ডটা অক্ষতই রাখল ফ্রান্স। প্রথম ৩০ মিনিটে পেরু যেভাবে খেলছিল, ফ্রান্সকেই বরং নড়বড়ে মনে হচ্ছিল। তবু ফেবারিট তকমাধারীদের সঙ্গে যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য থাকেই, সেটিই ৩৪ মিনিটে বুঝিয়ে দিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আঁতোয়ান গ্রিজমানের থ্রু বলে অলিভিয়ের জিরুর জোরালো শট। পেরুর ডিফেন্ডার রামোস ব্লক করলেও শেষরক্ষা হয়নি। বল পায়ে আসতেই এমবাপ্পের দারুণ ফিনিশিং। ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড গড়লেন এমবাপ্পে। এই গোল আর শোধ করতে পারেনি পেরু।
পাসে বলুন, কিংবা বল দখলে—দুটিতেই এগিয়ে পেরু। ছোট ছোট পাসে বারবার তারা এগিয়ে গেছে ফরাসি রক্ষণে। কিন্তু রক্ষণ আর ভাঙতে পারেনি। ৫০ মিনিটে সবচেয়ে বড় সুযোগটা পেলেন পেদ্রো আকিনো। পেরুর মিডফিল্ডারের জোরোলো শটটা লাগল পোস্টের ওপরে। একটু এদিক-সেদিক হলেই ম্যাচের গল্প অন্য রকম হতেই পারত। ৭৪ মিনিটে জেফারসন ফারফানের শটটা লাগল জালের পাশে।
গোলের খেলায় শট যদি গোলপোস্ট খুঁজে না পায়, স্কোরলাইনে পরিবর্তন আসবে কী করে! আসেওনি। পেরুকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ১-০ গোলের হার নিয়েই।