সুয়ারেজের 'কামড়ে' বিদায় মিসর-সৌদি আরবের
কামড়-কাণ্ডে কম বিতর্কিত হননি। লুইস সুয়ারেজ আজও একটা ‘কামড়’ দিলেন! তবে কোনো খেলোয়াড়কে নয়। সৌদি আরবকে! মুখেও নয়, পায়ে! তাঁর একমাত্র গোলে জিতল উরুগুয়ে। আর এতেই রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল সৌদি আরবের। শুধু সৌদি? আজ উরুগুয়ে জিতে যাওয়ায় বিদায় নিশ্চিত মিসরেরও। সুয়ারেজের এক ‘কামড়ে’ ক্ষত হয়ে গেল দুই দলের!
রোস্তভে আজ উরুগুয়ের জার্সিতে শততম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন লুইস সুয়ারেজ। ম্যাচটা উরুগুয়ে স্ট্রাইকার দারুণভাবে স্মরণীয় করে রাখলেন। তবে সুয়ারেজ যে পুরো ম্যাচে খুব দুর্দান্ত খেলেছেন, তা নয়। সুযোগ যা পাওয়ার ২৩ মিনিটেই পেয়েছেন। সৌদি ডিফেন্ডাররা সুয়ারেজকে আটকাতে যেন ভুলে গিয়েছিলেন! আর এই ভুলের সুযোগে সানচেসের কর্নারটা দারুণ এক ভলিতে পাঠিয়ে দিলেন জালে। চৌকস স্ট্রাইকারের গুণই তো এটা। সুযোগ কাজে লাগাতে হবে ভালোভাবে।
তবে পুরো ম্যাচে উরুগুয়ে খুব যে সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছে, তা নয়। ৬২ মিনিটে সানচেসই যেমন কাভানির ফ্রিকিকটা এমন হেড করলেন, উড়ে গেল বারের ওপর দিয়ে। ৮৬ মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কাভানি। সৌদি আরবের ভাগ্য ভালো, ৬৫ ও ৭৯ মিনিটে দুবার আত্মঘাতী গোল থেকে বেঁচে গেছে তারা!
প্রথম ২০ মিনিটে সৌদি আরব যেভাবে খেলেছিল, সেই ছন্দটা আর দেখা গেল না পরে। এলোমেলো ফুটবলের প্রদর্শনী, ভুল পাস আর উরুগুয়ের ডি-বক্সে গিয়ে আক্রমণের অপমৃত্যু। প্রথমার্ধে যদিও উরুগুয়ের সঙ্গে সমান লড়াই করেছে সৌদি আরব। এমনকি বল দখলে প্রথমার্ধে সৌদিই এগিয়ে থেকেছে, ৫৫%। এই অগ্রগামিতা তারা ধরে রাখল শেষ পর্যন্ত (৫৩%)। এমনকি পাসেও তারা এগিয়ে উরুগুয়ের চেয়ে। এসব পরিসংখ্যানে কী আসে যায়, যখন ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে না আসে।
সুয়ারেজের গোলে জিতে অস্কার তাবারেজ আপাতত খুশি হলেও ছাত্রদের নিয়ে তাঁর হোমওয়ার্কের অনেক কিছুই আছে। সৌদি আরবের রক্ষণ ভাঙতেই যেখানে ঘাম ছুটে গেছে, বড় দলের সামনে কতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে, অজানা নয় উরুগুয়ে কোচের!