কথা ছিল সুপার ওভারের, হলো করমর্দন!
>যেকোনো পর্যায়েই টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ টাই হলে করতে হবে সুপার ওভার। এটাই আইসিসির নিয়ম। কিন্তু সেদিন নিয়মটা যেন ভুলে গিয়েছিল সবাই!
টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। স্কটল্যান্ডের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কটিশরা করে ৪ উইকেটে ১৮৫ রান। জয়ের জন্য আইরিশদের চাই ১৮৬। আইরিশরা হারলও না, জিতলও না। করল ওই ১৮৫ রানই। ম্যাচ হয়ে গেল টাই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দশম টাই। শেষ বলে জেতার জন্য ৩ রান দরকার ছিল। লং অফে বল ঠেলে দিয়ে আয়ারল্যান্ডের স্টুয়ার্ট টমসন ২ রান নেন। ম্যাচ টাই হয়ে যায়। কিন্তু এরপর সুপার ওভার হয়নি। দুই দলের খেলোয়াড়েরা নাটকীয় ম্যাচ শেষে হাসিমুখে করমর্দন করেছেন। ম্যাচ শেষ!
এর জন্য ক্ষমা চেয়েছে আইসিসি। কারণ, দায়টা দুই আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির। তাঁদেরই মনে করিয়ে দেওয়ার কথা ছিল, ম্যাচ এখনো শেষ হয়নি। দুই দলকে সুপার ওভার করতে হবে। এক ওভারের সেই লড়াইয়ে যারা জিতবে, তারাই ম্যাচজয়ী। আম্পায়ার অ্যালান হুগো, ফন লিয়েম্ত আর ম্যাচ রেফারি ডেভিড জুকস নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইসিসি এই নিয়মটা চালু করে। নিন্দুকেরা অবশ্য বলতে পারেন, আইসিসি এত ঘন ঘন নিয়মকানুন বদলায় যে কখন কোন নিয়ম চলছে, তা মনে রাখাই তো কঠিন! আম্পায়ার আর ম্যাচ রেফারিরই যদি মনে না থাকে, খেলোয়াড়দের থাকবে কী করে? অবশ্য দুই দলের খেলোয়াড়েরা ক্রিকইনফোকে পরে বলেছেন, টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই নাকি তাঁদের বলে দেওয়া হয়েছিল, এই ত্রিদেশীয় সিরিজে কোনো সুপার ওভার থাকবে না!
স্কটল্যান্ড এখন আফসোস করতেই পারে। সুপার ওভারে খেলা গড়ালে নিজেদের টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্যদের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়টি তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতো। আয়ারল্যান্ডও এখন আইসিসির পূর্ণ সদস্য। স্কটল্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে এর আগে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। ২০১২ সালে।
আফসোস হতে পারে আইরিশদেরও। জিতলে পয়েন্ট টেবিলে জায়গা একটু শক্ত হতো। হল্যান্ডে চলমান এই ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু হয়েছে ১২ জুন। শেষ হবে আজ। দুই জয় নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে হল্যান্ড।
অবশ্য এর মধ্যেও একটা ভালো দিক খুঁজে নিতে পারে তারা। ফুটবল বিশ্বকাপের ডামাডোলে অনেকেই হয়তো খোঁজই রাখেনি এই সিরিজের। এখন তো এই ঘটনার সুবাদে অনেকে জানল!