বিশ্বকাপের উদ্বোধনীতে পুতিনের সঙ্গে থাকার কথা কিমের
‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বলে কথা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাই জমকালো কিছুর প্রত্যাশাটা সবারই। ব্রাজিল বিশ্বকাপে যেমন ছিলেন জেনিফার লোপেজ ও পিটবুল, তেমনি এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপ মাতাতে থাকছেন ইংল্যান্ডের পপ তারকা রবি উইলিয়াম এবং রাশিয়ান অপেরা শিল্পী আইদা গ্যারিফুল্লিনা। আগামীকাল মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তবু এ দুজন নয়, নজর থাকবে অন্য দুজনের ওপর।
স্বাগতিক দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভ্লাদিমির পুতিনের স্টেডিয়ামে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রেমনিল প্রেস সার্ভিস। একই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় থাকা কিম জং-উনের উপস্থিতিও প্রত্যাশা করছে রাশিয়া সরকার। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও নাকি থাকবেন—উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরই যে রাশিয়ার বিপক্ষে সৌদি আরবের ম্যাচ।
এমন অবস্থায় প্রশ্ন জাগতেই পারে, ৩০ মিনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবি উইলিয়াম এবং আইদা গ্যারিফুল্লিনা কি সবার মন ভরাতে পারবেন? হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এই দুজন ছাড়াও ব্রাজিলকে দুবার বিশ্বকাপ জেতানোর নায়ক রোনালদোও থাকছেন এ অনুষ্ঠানে। ২০১৮ বিশ্বকাপের একমাত্র আয়োজক রাশিয়া তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাশিয়ার কিছু থাকবে না, এমনকি হয় নাকি? অনুষ্ঠানের প্রথমেই তাই রাশিয়ান সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে দেখা যাবে ৫০০ জন নৃত্যশিল্পীকে। আর এরপরই মঞ্চে আগমন ঘটবে রবি উইলিয়াম ও গ্যারিফুল্লিনার।
তবে অনুষ্ঠানে রবি উইলিয়ামের উপস্থিতি মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। এটা অস্বাভাবিক কিছুও না। রাশিয়া আর ইংল্যান্ডের সম্পর্কটা এখন অনেকটাই অহিনকুলের মতো। আর এই সময়েই রাশিয়ান স্টেডিয়ামে নেচে-গেয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাতাতে চলেছেন ইংলিশ তারকা রবি উইলিয়াম। তাই ইংলিশদের একটু রাগ হবেই। তবে সেসব নিয়ে ভাবছেন না এই পপ তারকা, বরং অনুষ্ঠান নিয়ে উত্তেজিত। তিনি জানান, ‘আমি আমার জীবনে অনেক কিছু করেছি। খুব সম্ভবত ৮০ হাজার মানুষ থাকবেন সেখানে, এত এত মানুষের সামনে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করা আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল, সত্যিই রোমাঞ্চিত আমি।’ রবি উইলিয়ামের সঙ্গী আইদা গ্যারিফুল্লিনাও কিন্তু কম রোমাঞ্চিত নন। তিনি বলেন, ‘কখনো কল্পনাই করতে পারিনি যে আমি এত বড় অনুষ্ঠানের একটি অংশ হতে পারব।’
পুরো রাশিয়ায় এখন বিশ্বকাপের আমেজ। স্বাগতিক দেশ হওয়াটা যেন তাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। রাশিয়ানদের বর্তমান অবস্থাটা যেন ব্রাজিল তারকা রোনালদোর খুব চেনা। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ানদের জন্য এটি খুব আবেগঘন মুহূর্ত। কঠোর পরিশ্রমের জোরেই ওরা এটি পেরেছে। রাশিয়ানদের বর্তমান অবস্থাটি আমি আঁচ করতে পারছি, চার বছর আগে যখন ব্রাজিলে বিশ্বকাপ হয়েছিল, তখন প্রত্যেক ব্রাজিলিয়ানেরই এমনটা হয়েছিল।’