১৬৮ রান করতে হবে বাংলাদেশকে
শুরুটা ভালোই হয়েছিল আফগানিস্তানের। পরে বাংলাদেশ এসেছিল চালকের আসনে। শেষভাগে বোলার নির্বাচনে বাংলাদেশের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের সুযোগ নিল আফগানিস্তান। ৮ উইকেটে ১৬৭ রানে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ইনিংসে থেমেছে স্বাগতিক দল।
১০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচটা ছিল সমানে-সমান। কিন্তু ২ ওভারের মধ্যে হঠাৎ করেই চালকের আসনে চলে এল বাংলাদেশ। দ্বাদশ ওভারের শেষ বল থেকে চৌদ্দতম ওভারের পঞ্চম বল, এই ১২ বলে মাত্র ৫ রান করেছে আফগানিস্তান। এর মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসল দলটি। ১ উইকেটে ৮৬ রান থেকে হঠাৎ করেই ৯১/৪-এ রূপ নিল স্বাগতিক দল।
শুরুটা করেছেন সাকিব। তাঁকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে ধরা পড়লেন মোহাম্মদ (৩৭ বলে ৪০ রান)। আর ১৪তম ওভারে মাহমুদউল্লাহকে হাঁকাতে গিয়ে প্রথমে ফিরলেন নাজীবউল্লাহ জাদরান (২)। ২ বল বিরতিতে শূন্য হাতে ফিরলেন মোহাম্মদ নবী (০)। তখন পরিষ্কার ফেবারিট মনে হচ্ছিল বাংলাদেশকেই।
১৭তম ওভারের প্রথম বলে লং অনে শামিউল্লাহ শেনওয়ারির ক্যাচটা ধরতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। রুবেলের বলে সে বলটা চার হয়ে গেল। সেটাই ম্যাচের রূপ আরেকবার বদলে দিল। পরের ওভারে আবু জায়েদকে নিয়ে রীতিমতো খেললেন শেনওয়ারি। শেষ বলে ভুল এক শটে আউট হওয়ার আগেই দুই চার ও দুই ছক্কায় ২০ রান তুলে ফেলেছেন জায়েদের তৃতীয় ওভার থেকে। ৯ বলে ৮ রানে জীবন পাওয়া শেনওয়ারি শেষ পর্যন্ত আউট হলেন ১৮ বলে ৩৬ রান করে।
১৯তম ওভারে রুবেল দিলেন ১৩ রান। ২০তম ওভারের প্রথম দুই বলেই ছক্কা মারলেন সফিকউল্লাহ। তৃতীয় বলে বোল্ড যখন আউট হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান, ততক্ষণে তিন শ স্ট্রাইক রেট হয়ে গেছে তাঁর (৮ বলে ২৪ রান, ১ চার ও ৩ ছক্কা)। শেষ ওভারেও ১৯ রান তুলেছে আফগানিস্তান। এক ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে উইকেট পাওয়ার পরো আরেক ওভার করানো হয়নি মাহমুদউল্লাহকে।
এর আগে দল নির্বাচনেই চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। একদম শেষ মুহূর্তে ডাক পাওয়া পেসার আবুল হাসান আছেন দলে। অবশ্য এমন চমকও খুব কাজে আসেনি। দুই ওপেনার উসমান গনি ও মোহাম্মদ শেহজাদ অনায়াসে কাটিয়ে দিয়েছেন পাওয়ার প্লে। ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৪ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। পঞ্চাশ ছুঁয়েছে ৭ম ওভারেই। বাংলাদেশকে প্রথম সুখবর এনে দিয়েছিলেন রুবেল হোসেন। ৯ম ওভারে রুবেলের তৃতীয় বলে বোল্ড হয়েছেন গনি। ৬২ রানে প্রথম উইকেট হারানো আফগানিস্তান শেষ পর্যন্ত লড়াকু স্কোর গড়েছে।