নারী কোটা

আমাদের দেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বিভিন্ন প্রকার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। এরূপ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকারি-আধা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য নির্ধারিত কোটা সংরক্ষণের বিধান করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৪৫ শতাংশ পদ মেধা কোটায় নির্বাচনের পর অবশিষ্ট পদের জন্য অন্যান্য কোটার সঙ্গে ১০ শতাংশ নারী কোটা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে মেধাভিত্তিক জেলা কোটায় নির্বাচনের পাশাপাশি ১৫ শতাংশ নারী কোটা ও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিক জেলা কোটায় নির্বাচনের পাশাপাশি ৬০ শতাংশ নারী কোটা সংরক্ষিত রেখে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
এতে নারীরা সরকারি চাকরিতে পুরুষ প্রার্থীর সঙ্গে মেধা কোটায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিয়োগ লাভের পাশাপাশি সংরক্ষিত কোটায়ও নিয়োগ লাভের সুবিধা পেয়ে থাকেন। নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ নয় বরং ভিন্ন পন্থা উদ্ভাবন করা প্রয়োজন। সব শ্রেণির সরকারি চাকরির নিয়োগের বিধিতে নারীদের কেবল মেধায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিয়োগ পাওয়ার বিধান রেখে ‘কোটা সংরক্ষণ’-ব্যবস্থা বিলোপ করার বিষয়ে ভেবে দেখা প্রয়োজন। কারণ, এত এত কোটার কারণে দেশের মেধাবীরা একসময় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চাকরি করতে পারবেন না, এতে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হতে পারে। এটা আমাদের রাষ্ট্রের জন্য মোটেও ভালো হবে না।
সামসুল আলম
চট্টগ্রাম।