একটি বেড়িবাঁধ পারে এ সমস্যার সমাধান করতে। কিন্তু সেটাই হচ্ছে না। বেড়িবাঁধ না থাকায় গত এক বছরে শঙ্খ নদে ঘর হারিয়েছে জেলেপাড়ার অনেক পরিবার। স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে একাধিকবার আবেদন করেছে কৈবর্তপাড়ার বাসিন্দারা। কিন্তু এসব আবেদনে যে কোনো কাজ হয়নি, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। বহুদিন ধরে এ সমস্যা বিরাজ করলেও পাউবোর এতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। জনগণের দুর্ভোগে তাদের নির্লিপ্ত থাকাটা গ্রহণযোগ্য নয়।
অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে এবং চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত বলের প্রবল আকর্ষণে নদী ও সাগরে জোয়ারের সৃষ্টি হয়। প্রাকৃতিক এ ঘটনার ওপর মানুষের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু জোয়ারের পানি ঠেকানোর উপায় তো আমাদের হাতে আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাধনপুরের কৈবর্তপাড়াকে জোয়ারের পানি থেকে রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেই। এটা খুবই দুঃখজনক।
পানিবন্দী মানুষের কী ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়, তা হয়তো কারও অজানা নয়। জীবিকার কথা বাদ দিলেও প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা গুরুতর
সমস্যার সম্মুখীন হয়; দেখা দেয় নানা ধরনের রোগব্যাধি। এর মধ্যে যদি আবার বৃষ্টি হয়, তাহলে তো কথাই নেই। যাতায়াত বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি অর্ধাহার-অনাহারে জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। নষ্ট হয় ফসল। গবাদিপশুর জীবনহানি ঘটে।
আমরা জানি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়ানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে যথাযথ প্রস্তুতি নিলে মানুষের দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চয় নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আমরা চাই, বাঁশখালীর সাধনপুর অংশে শঙ্খ নদের তীরে দ্রুত স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক। অবসান হোক ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের। আমরা এ ব্যাপারে স্থানীয় পাউবোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।