যুব বাজেট: যুবদের উন্নয়ন, প্রত্যাশা ও করণীয়
আলোচনায় সুপারিশ
* বাজেট প্রণয়নে যুবদের মতামত নিতে হবে
* জাতীয় বাজেটে যুবদের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে
* যুবদের সঙ্গে পরামর্শ করে যুব বাজেট ব্যয়ের খাত নির্ধারণ করা জরুরি
* প্রশাসনিক কাজ গতিশীল করার জন্য যুব বিভাগ গঠন করা প্রয়োজন
* যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অনেক বেশি বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে
* যুবসমাজের জন্য আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে
* যুবসমাজ কীভাবে উদ্যোক্তা হতে পারে, সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি
* সামান্য একটা লাইসেন্সের জন্যও যুবদের িবভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। তাই যুবদের জন্য ওয়ান স্টপ সেবার ব্যবস্থা করতে হবে
* নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বেশি সুযোগ–সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন
আলোচনা
আব্দুল কাইয়ুম
দেশের উন্নয়ন বাজেটে যুবদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখার জন্য যুবদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। তাঁদের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও প্রত্যাশার বিষয়টি চিন্তা করে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
যুবদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। এ জন্য আগামী বাজেটে তাঁদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। এখন এ বিষয়ে আলোচনা করবেন আবু সুমন।
মো. আবু সুমন
বিশ্বব্যাংকের একটি তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৭৬ লাখ মানুষ বিদেশে আছে। তাদের বার্ষিক আয় ১৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ভারত, ফিলিপাইনের সমপরিমাণ জনশক্তি আমাদের থেকে কয়েক গুণ বেশি আয় করছে। এর প্রধান কারণ হলো, আমরা দক্ষ মানবসম্পদ বিদেশে পাঠাতে পারছি না।
তাই যুবদের কার্যকর প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের ২৩টি মন্ত্রণালয়ের অধীন সারা দেশের যুবদের বিভিন্নভাবে দক্ষতা বৃদ্ধির বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এ ধরনের প্রশিক্ষণ যুবসমাজের সব স্তরের জন্য উন্মুক্ত করা উচিত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এসব প্রশিক্ষণ পরিচালনার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
জাতীয় বাজেট প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, সরকার যেন দেশের যুব সমাজের অগ্রগতির বিষয়টিতে আরও বেশি গুরুত্ব দেয়।
এ ছাড়া বাজেটের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকেও যুব উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনা নিতে হবে। যুবদের উন্নয়নের জন্য দেশজুড়ে যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলো যেন নির্ধারিত কাঠামো মেনে পরিচালনা করা হয়, সেদিকে সবার মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি যুবদের প্রশিক্ষণ যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়, সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের যুবসমাজ শুধু পিছিয়ে পড়ে মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণের অভাবে। ফলে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি গুরুত্বসহকারে যুবদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দিতে পারে, তাহলে আন্তর্জাতিক কর্মবাজারেও সফলতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে।
মো. খালিদ হোসেন
আমরা যুবদের জীবনদক্ষতা ও ক্ষমতায়নের বিষয়ে কাজ করি। যুবসমাজের অনেকে বেশ ভালো জানেন। কিন্তু জীবনদক্ষতার অভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন না। এ জন্য চাকরির বাজারসহ অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা পিছিয়ে পড়েন।
আমরা জানার চেষ্টা করেছি ইউনিয়ন পর্যায়ে যুবদের জন্য যে বাজেট আছে, সে সম্পর্কে তাঁরা জানেন কি না। তাঁদের কোনো সম্পৃৃক্ততা আছে কি না।
আমরা ১৬টা ইউনিয়নে যুবদের সঙ্গে কাজ করেছি। এসব ইউনিয়নের যুবসমাজ তাদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে।
তারা জেনেছে তাদের স্বাস্থ্য, দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের জন্য অর্থ বরাদ্দ আছে। এর ৬০ শতাংশ অব্যবহৃত থেকে যায়। তারা আরও জেনেছে অধিকাংশ তরুণ–তরুণী বাজেট সম্পর্কে জানেন না। এই বাজেটে তাঁদের অংশগ্রহণ খুবই সীমিত।
তাই ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা দেখতে পাই, স্থানীয় পর্যায়ে যুবকদের জন্য বরাদ্দ থাকলেও তার মাত্র ৪০ শতাংশ ব্যবহার করা হয়। আবার এটা সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বাকি ৬০ শতাংশ খরচ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
স্থানীয় যুবরা মনে করেন যে এ ধরনের বাজেট প্রকল্পগুলোয় যদি তাঁদের সম্পৃক্ত করা হয়, তাহলে বাজেটে তাঁদের প্রত্যাশা ও করণীয় সম্পর্কে তাঁরা ভূমিকা রাখতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে যুবরা অনেক বেশি সমৃদ্ধ হতে পারবেন। এটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অবদান রাখবে।
মো. মোয়াজ্জেম হোসেন
আমাদের মোট জাতীয় বাজেটের শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ যুব ও ক্রীড়া বাজেটের অন্তর্ভুক্ত। বর্তমান সরকার আরও বরাদ্দ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু পরিকল্পনা আমাদের আছে। শুরুতেই যুবদের জন্য আলাদা বিভাগ গঠন করা প্রয়োজন।
প্রশাসনিক পর্যায়ে যুবদের কার্যক্রম গতিশীল করে তোলার জন্য এই বিভাগ প্রয়োজন। ২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে এই বিভাগ সক্রিয়ভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।
বাংলাদেশের ৪৯৬টি উপজেলায় আমরা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, যা পাস হলেই আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করব।
তিনটি ধাপে প্রতিবার প্রায় ১৪০টি করে এ ধরনের প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
সরকার প্রতি অর্থবছরেই যুবদের জন্য বরাদ্দ বাড়াচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৪৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বর্তমানে ২০১৯-২০ এ প্রস্তাবিত বাজেটের পরিমাণ প্রায় ৩২০ কোটি টাকার মতো।
সরকার প্রতিবছরই যুবদের জন্য বাজেট বাড়াতে থাকবে। কেননা বর্তমান সরকার যুবদের ব্যাপারে খুবই সচেতন।
আজকের যুবসমাজই ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্বে আসবে। ২০২০ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ হতে আমাদের যুবসমাজকে আরও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
রেজওয়ানা শারমিন
স্থানীয় পর্যায় থেকে আমরা যখন এক হয়ে সরকার পর্যায়ে দাবি নিয়ে কথা বলতে যাই, তখন আমাদের জানানো হয় আমাদের জন্য সেভাবে কোনো বাজেট বরাদ্দ নেই। যদিও কোনো বাজেট থেকে থাকে, সেটা আমাদের জানানো হয় না।
যুব বাজেটে যদি আমাদের সম্পৃক্ত করা হয়, তাহলে যুবদের প্রত্যাশা পূরণ হবে। আমাদের চাওয়া হলো যুবদের জন্য যখন বাজেট প্রস্তাব করা হয়, তখন যুবদের মতামত নেওয়া হলে তা যুবদের কাজে আসবে।
আমাদের নানা রকম দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণগুলোর ক্ষেত্রে যুবদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। কেননা এখনকার তরুণ–তরুণীরা সম্ভাবনাময়। তাঁরা নতুন দক্ষতা চান। তাঁরা নতুন পেশায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চান। মাঠপর্যায়ের অনেক যুবকই উদ্যোক্তা হতে চান। তাই যুবদের জন্য বাজেট বাড়াতে হবে।
নুসরাত জাহান
মাঠপর্যায় থেকে যখন যুবদের জন্য নানা রকম দাবি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) জানানো হয়, তখন তারা যুবদের বাজেটের বিষয়টি এড়িয়ে যান। অনেক ক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণ নিয়েও তাঁরা সংশয় প্রকাশ করেন।
আমাদের চাহিদা অনুসারে বাজেট পর্যাপ্ত না হলেও যেটা বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেটাও ঠিকভাবে পাই না। যুবদের জানানো হয় না যে এই বাজেটের ব্যয়ের খাত কী। বা কীভাবে কোথায় কোন কাজে এ বাজেট ব্যয় করা হবে। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা তাঁদের ইচ্ছেমতো বাজেট ব্যয় করেন। ফলে এ বাজেট সম্পর্কে যুবরা অনেকটা অন্ধকারে থাকেন।
যুব বাজেটের সঠিক ব্যবহারের জন্য আমরা যুবসমাজ কাজ করতে চাই। অনেক ক্ষেত্রে বরাদ্দ কম থাকলেও যুবদের দিয়ে কাজ করা সম্ভব। তাই দেশের প্রতিটি ইউপিতে যুবদের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়, তাতে যেন যুবদের সম্পৃক্ত করা হয়। তাহলে বাজেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে
মুহাম্মাদ মুনীর হোসেন
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩২ শতাংশ যুবসমাজ। এখানে ছেলেমেয়ের বিভাজন আছে। দেশের ৫৯ শতাংশ যুব নারী ১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ের মতো পারিবারিক দায়বদ্ধতায় জড়িয়ে পড়ছেন।
এ ছাড়া যুবসমাজের ২৭ শতাংশ কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ, শিক্ষা বা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নেই। তারা সমাজের কোন অংশে ভূমিকা রাখছে, সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই নেই।
এ অবস্থায় ২০১৭ সালে দেশে যুব নীতিমালা হয়। যুব নীতিমালায় যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধি আর তাদের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে, তেমনি দেশের শাসনব্যবস্থায় রাজনীতি ও সরকারি কার্যক্রম পরিচালনায় যুবদের অংশগ্রহণকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়, জেলা এবং জাতীয় পর্যায়েও যুবদের এই অংশগ্রহণ নিয়ে নীতিমালায় বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে আমাদের জানা প্রয়োজন যে যুবসমাজ যে প্রশিক্ষণ পাচ্ছে, সেটা কি আদৌ আন্তর্জাতিক মানের? এ প্রশিক্ষণ থেকে তারা কি বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারছে? দেশে যুবদের জন্য যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেটা কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক মানের নয়।
প্রায় সব ক্ষেত্রেই যুবসমাজের অংশগ্রহণ আছে, সেখানে তারা যেন তাদের সেরাটা দিতে পারে, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
মো. নুরুল ইসলাম
আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার একটা বড় অংশ যুবসমাজ। এ জন্য আমরা একটা সম্ভাবনাময় সময় পার করছি। দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয় নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুবসমাজের জন্য কাজ করছে।
যুবশক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য দুটি বিষয় ভাবা প্রয়োজন। এটা হলো তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি। কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমরা তিন ধাপে কাজ করি। প্রথমটি হলো স্থানীয় পর্যায়ে কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি। দ্বিতীয়টি উদ্যোক্তা সৃষ্টি। তৃতীয় পর্যায় বিদেশের বাজারে যুবদের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি।
আমরা বিদেশে কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির ক্ষেত্রে কাজ করি। প্রতিবছর প্রায় ২২ লাখ তরুণ–তরুণী কর্মবাজারে প্রবেশ করছেন। দুই থেকে আড়াই লাখ যুব দেশের বাজারে নিজেদের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করতে পারছেন। অন্যদিকে বিদেশের মাটিতে প্রতিবছর আমরা গড়ে আট থেকে দশ লাখ যুবসমাজের কাজের সুযোগ করে দিতে পারি। অন্যরা অপ্রচলিত খাতে কাজ করেন। অনেকের হয়তো শেষ পর্যন্ত কাজের সুযোগই থাকে না।
সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় যুবদের জন্য কিছু লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। আমরা সেটা বাস্তবায়নে কাজ করছি। আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে আমাদের যুবদের কাজের তেমন গ্রহণযোগ্যতা নেই। এটা নিয়ে এখন আমরা কাজ করছি।
কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। তারা আমাদের যুবদের বিদেশের কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি পেতে সাহায্য করবে।
প্রযুক্তিজ্ঞান ও বিদেশি ভাষায় দক্ষতার অভাবে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুবরা পিছিয়ে আছেন। তবে আমাদের যুবদের একটা সুনাম আছে। তাঁরা দ্রুত যেকোনো বিষয় আয়ত্ত করতে পারেন।
এখন ইংরেজি, জাপানি ও কোরীয়সহ কয়েকটি ভাষায় যুবদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে দেশের ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ বিশ্বের ১৬৮টি দেশে কর্মরত আছে। গত বছর তারা ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার দেশে পাঠিয়েছে।
দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের দেশ থেকে মাত্র দুই থেকে তিন লাখ মানুষ প্রতিবছর ছয় বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে। খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। প্রতিবছর শুধু আমাদের প্রতিবেশী দেশেই চলে যাচ্ছে চার বিলিয়ন ডলার।
আমাদের যুবসমাজকে এ জায়গায় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আমাদের দেশে বিদেশিরা যে কাজ করছে, এ কাজ যদি আমাদের যুবসমাজ করতে পারত, তাহলে এই বিশাল অর্থ দেশ থেকে বিদেশে চলে যেত না।
এ ছাড়া যুব নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও সরকার কাজ করছে। প্রতিবছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ নারী শ্রমিক পাঠানো হয়। তবে তাঁদের আরও মানসম্পন্ন কাজে কীভাবে পাঠানো যায়, সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে।
অন্যান্য দেশের উন্নত পেশায় এসব নারীকে পাঠানো যায় কি না, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের কারখানাগুলোর উচিত আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া। তাহলে দেশেই দক্ষ শ্রমিক তৈরি করা সম্ভব।
এ ছাড়া সরকার পর্যায়ে আর্থিক সমস্যা থেকেও বড় প্রতিবন্ধকতা হলো সুনির্ধারিত পরিকল্পনার। আমাদের জন্য বাস্তবসম্মত নীতিমালা মেনে পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।
আর শুধু চাকরি নয়, বরং যুবরা যেন উদে্যাক্তা হিসেবে নিজের ও তাঁর চারপাশের যুবসমাজের জন্য নতুন কর্মবাজার সৃষ্টি করতে পারেন, সেদিকে জোর দিতে হবে।
উলফাত জাহান
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের সমীক্ষা অনুসারে প্রতি এক হাজার মানুষের জন্য তিনজন নার্স দরকার। কিন্তু আমরা সেই পরিমাণ নার্স তৈরি করতে পারছি না। আমাদের দেশে এখনো প্রায় সাড়ে চার লাখ নার্সের অভাব রয়েছে।
চার বছরের নার্সিং কোর্স শেষে যেকোনো নার্স চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন। দেশে ও বিদেশে তাঁদের সমান চাহিদা আছে। কিন্তু তাঁরা এই কর্মবাজারে টিকে থাকতে পারছেন না। কেননা তাঁদের প্রয়োজনমতো প্রশিক্ষণ দিতে পারছি না। এ জন্য বাজেটের প্রয়োজন। আমাদের পাশের দেশ ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নার্সরা সারা বিশ্বেই কাজ করছেন। কারণ তাঁদের সেই দক্ষতা আছে।
দেশের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাদের জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। আমাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোকে এখন ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে সারা দেশেই ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
দেশের নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে ভবিষ্যতে যুব নারীদের জন্য সম্ভাবনা সৃষ্টি করা যাবে বলে মনে করি।
অমিয় প্রাপন চক্রবর্তী
আমাদের যুবনীতিতে সুদূরপ্রসারী চিন্তার প্রকাশ থাকা জরুরি। দেশের যুবসমাজ যদি তাদের মতামত দিতে চায়, কোনো উদ্যোগ শুরু করতে চায়, এ জন্য দেশে কি কোনো সুযোগ আছে?
আমাদের পাশের দেশগুলোতে ইয়ুথ কাউন্সিল আছে। যেখানে যুবরা তঁাদের দাবি তুলে ধরতে পারেন। আমাদের দেশের যুবরা সে সুযোগ পান না।
আমাদের নীতিমালায় এসব থাকলেও দেশে এগুলো নিয়ে কোনো কাজ হচ্ছে না। আমরা চাইলেই শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের অবকাঠামো ব্যবহার করে যুবদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারি। এর ফলে যুবসমাজ তাদের দাবি তুলে ধরার সুযোগ পাবে।
যুব ব্যাংক নিয়েও আমাদের নীতিমালায় বলা আছে। একজন যুব পুরুষ বা নারী প্রশিক্ষণ শেষে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা ঋণ নিতে পারেন। এত অল্প টাকা কোনো উদ্যোগ গ্রহণের জন্য খুব কম। এই কার্যক্রম তঁাদের জন্য আসলে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।
স্থানীয় পর্যায়ে যেসব তরুণ–তরুণী কাজ করেন, তাঁরা যদি আর্থিক সাহায্য না পান, তাহলে কোনোভাবেই প্রকল্পগুলো চালিয়ে নিতে পারবেন না।
আমাদের চারপাশে অসংখ্য যুবক একসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের স্বেচ্ছাসেবক–সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালনা করেন। সেখানে মাদকবিরোধী থেকে শুরু করে রক্তদানের মতো প্রতিষ্ঠানও আছে। আমরা যদি এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা না নিই, তাহলে ভবিষ্যতে দেশের তরুণেরা এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসবেন না।
ইউপিতে যুব উন্নয়ন কমিটি করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও, সেগুলো নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কোনো কাজ হয় না। ফলে যুবকদের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মাঠপর্যায়ের যুবদের হাতে পৌঁছায় না।
মো. ফারুক হোসেন
যুবদের জন্য আলাদাভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে খরচ করা হয়। প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে তঁাদের জন্য বিশেষ প্রকল্প পরিচালনা করা হয়। তবে আমাদের এই প্রশিক্ষণগুলো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক বাজারে যুবসমাজের মান তুলে ধরতে পারছে না।
তবে আশার কথা হলো, সরকার যুবদের জন্য কাজ শুরু করেছে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। এর একটি হলো সব প্রশিক্ষণার্থীর মান বৃদ্ধি করা। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধন করতে হবে। তখন তঁাদের প্রশিক্ষণপ্রণালি, প্রশিক্ষক, যাচাই মানসহ সব কার্যক্রম জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পর্যবেক্ষণ করবে। তখন যুবসমাজ দেশ-বিদেশের যেকোনো কর্মবাজারে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারবে।
সরকারি নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণদের নিয়ে আলোচনা রয়েছে। এখানে তাঁদের জন্য ব্যাপকভাবে কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। এ জন্য আমাদের পরিকল্পনামতো এগোতে হবে।
দেশ ও বিদেশের কর্মক্ষেত্রে যেন যুবসমাজ মানসম্মত বেতন পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার বিদেশি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান চালু করার চেষ্টা করছে। সেগুলো বাস্তবায়িত হলে আমাদের দেশের যুবরা আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে পারবেন।
তরুণদের জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করতে চাই। তাঁদের উন্নয়নে যেন কোনো বাধা না থাকে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য আলাদাভাবে হলেও প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।
পাশাপাশি এখানে প্রচুর গবেষণার প্রয়োজন। কেননা, ভবিষ্যতে সারা বিশ্বে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব শুরু হবে। সেখানে আমাদের তরুণদের টিকে থাকার জন্য ভিন্ন রকম দক্ষতার প্রয়োজন হবে। তাই সেসব বিষয়ে চিন্তা করে তাঁদের প্রশিক্ষণ নীতিমালা পরিবর্তন করতে হবে।
আশা করি, ভবিষ্যতের দিনগুলোতে দেশের যুবদের উন্নয়নে আরও অনেক রকম উদ্যোগ গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন দেখতে পাব।
এস এম মনজুর রশীদ
আমাদের প্রতিটি আলোচনায় যুবদের উন্নয়ন নিয়ে কথা হলেও, আমরা যুবদের থেকে সেভাবে কিছু জানতে পারিনি। যুব খাতে বাজেট বাড়ালেও সেটা দিয়ে আসলে কী ধরনের নতুন প্রকল্প চালু করা হবে, সেটা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলার প্রয়োজন।
আমাদের সব জায়গাতেই যুবসমাজ ছড়িয়ে আছে। আদিবাসী, প্রত্যন্ত অঞ্চল, প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গসহ অন্যান্য যুবসমাজ আমাদের জন্য এখনো পুরোপুরি সম্পদ হতে পারেনি।
জাতীয় বাজেট অনুসারে ২৩টি মন্ত্রণালয় যুবদের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। গ্রাম–শহরের যুবদের সমান গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। শহরের যুবসমাজ ক্রমে মাদক, নেশা, অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে। ইন্টারনেট আর বিদেশি সংস্কৃতিতে অভ্যস্থ হওয়ার ফলে তারা নিজেদের আর্থসামাজিক অবস্থান সমৃদ্ধ করতে পারছে না।
যুবদের মাঝে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন। আমরা যদি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যুবদের এক করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে দেশে এই বৈষম্য দেখা যাবে না। যুবদের জন্য শুধু বাজেট বাড়ালে হবে না, বাজেট যেন তাঁদের জন্য সঠিক খাতে ব্যয় হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব
জাতীয় উন্নয়নে আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো যুবসমাজ। যুব উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় যুব প্রশিক্ষণকেন্দ্র আছে। এগুলোর মাধ্যমে সরকার দেশের যুব সমাজকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার চেষ্টা করছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া আছে। এসব প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিরূপণের জন্য যুব উন্নয়ন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
যুব সংঘগুলোকেও পরিচালনার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের শিক্ষিত বেকার যুবদের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যুবদের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি নিয়েও কাজ করছে সরকার। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে যুবদের প্রত্যাশাকে সফল করার জন্য। ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য যুবসমাজকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
এম এ মান্নান
আমাদের অর্থনীতির মূল পরিবর্তন আসবে যুবদের হাত ধরে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যুবদের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে। এসব কাজের সমন্বয় করা প্রয়োজন। যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের যুবসমাজের অবদান আছে। তাদের পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা প্রয়োজন। যুবদের নতুন যেকোনো প্রকল্পের জন্য সরকার সব সময় কাজ করছে।
শুধু বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করলেই হবে না। মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই সঠিক প্রকল্প নিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের সঙ্গে যুবদের যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।
সরকার যুবদের বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। সব ক্ষেত্রে যুবরা অগ্রাধিকার পচ্ছেন। ভবিষ্যতে যুবদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। স্থানীয়ভাবে যুবদের জন্য কোনো প্রকল্প চালু হলে সখানে অবশ্যই যুবদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
এখন আমরা যুবসমাজ–সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। সেগুলো ক্রমান্বয়ে সমাধান করলে নতুন করে দেশকে গড়ে তুলতে পারব।
সরকারের কাছে যুবদের অনেক চাহিদা। এসব যেন আমাদের কাছে পৌঁছায়। সমস্যা সমাধানে সরকারকে আপনারা যদি সাহায্য করেন, তাহলে ভবিষ্যতে যুবসমাজ উন্নয়নের শক্তিতে পরিণত হবে। অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন আলোচনায় আসে যে সরকার যুবদের নিয়ে আরও কিছু করুক। দেশের প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পে যুবদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সরকার কাজ করছে। আমরা যদি বাস্তবেই একটি কল্যাণকর উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কথা চিন্তা করি, তাহলে যুবদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।
সংবিধানের বিভিন্ন ধাপেও যুবদের বিভিন্ন রকম উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ আছে। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুবরাই আমাদের শক্তি। তাঁরা যদি দেশের সব কার্যক্রমের সামনের সারিতে থাকেন, তাহলে আরও দ্রুত দেশের উন্নয়ন হবে।
আব্দুল কাইয়ুম
যুবদের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক আলোচনায় এসেছে। ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয় এগুলো নিয়ে কাজ করবে বলে আশা করি। আগামী বাজেটে যুবসমাজের প্রত্যাশার ক্ষেত্রে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
যাঁরা অংশ নিলেন
এম এ মান্নান: মন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব: সাংসদ, চেয়ারম্যান, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
মো. ফারুক হোসেন: এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট অথরিটি
মো. নুরুল ইসলাম: পরিচালক, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো
মো. মোয়াজ্জেম হোসেন: উপপরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
উলফাত জাহান: পরিচালক, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি
মুহাম্মাদ মুনীর হোসেন: প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট, ইউএনএফপিএ
মো. আবু সুমন: বিশেষজ্ঞ, পাবলিক ফাইন্যান্স
অমিয় প্রাপন চক্রবর্তী: এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, নির্বাহী সদস্য, শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট
মো. খালিদ হোসেন: ম্যানেজার, ইকোনমিক জাস্টিস অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স, অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ
এস এম মনজুর রশীদ: ম্যানেজার পলিসি, অ্যাডভোকেসি, ক্যাম্পেইন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ
নুসরাত জাহান: সদস্য, অক্সফ্যাম ইয়ুথ গ্রুপ, জয়ীতা, বাকেরগঞ্জ , বরিশাল
রেজওয়ানা শারমিন: সদস্য, অক্সফ্যাম ইয়ুথ গ্রুপ, রংপুর
সঞ্চালক
আব্দুল কাইয়ুম: সহযোগী সম্পাদক, প্রথম আলো