মিশিগানে সিম্ফনি ক্লাবের যাত্রা শুরু

ব্যতিক্রমী এক আয়োজনের মাধ্যমে ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মিশিগানে যাত্রা শুরু করেছে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সিম্ফনি ক্লাব। ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে এ সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি ওয়ারেন সিটির দেশি হলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের বিনোদনের বিভিন্ন পসরা নিয়ে হাজির হয়েছিল খুদে ও শিশু শিল্পীরা। প্রথমে দুই গ্রুপে শিশু ও কিশোর–কিশোরীরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। গানের অনুষ্ঠান খাড়ব–এ অংশগ্রহণ করে স্থানীয় কিশোরী ও তরুণীরা। ছোট ছোট নৃত্য শিল্পীদের নূপুরের রুনুঝুনু আওয়াজে মুগ্ধ হন সকলে। উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতারা সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হন ও উপভোগ করেন শুধুমাত্র নারীদের অংশগ্রহণে নাটক ‘শাট আপ’ দেখে।

মিশিগানে এ ধরনের উপস্থাপনা এই প্রথম। এরপর ছিল উপস্থিত দর্শকদের অংশগ্রহণে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ‘চুমকুড়ি’। এতে সকল বয়সের দর্শকেরা অংশগ্রহণ করেন। প্রবীণ নারী-পুরুষদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল খুবই প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয়।
সিম্ফনি ক্লাবের পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়। এরপর ছিল মন্ট্রিয়েল থেকে আগত অতিথি শিল্পী আশরাফুল পাভেলের একক সংগীতসন্ধ্যা। তার গানে দর্শক শ্রোতারা মুগ্ধ। দর্শকদের অনুরোধে তিনি কয়েকটি লোকগীতি পরিবেশন করলে উপস্থিত দর্শকরাও তার গানের সঙ্গে গলা মেলান ও নাচেন।

রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রদীপ প্রজ্বালন ও কেক কাটার মাধ্যমে সিম্ফনি ক্লাব তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। কেন এই ক্লাব, কী তার উদ্দেশ্য কীবা তার লক্ষ্য, এ নিয়ে উদ্যোক্তারা সংক্ষেপে জানান। উপস্থিত সবাই ক্লাবের সফলতা কামনা করেন। সবশেষে ছিল আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র। স্নেহা ও পূজার সাবলীল উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠে প্রাণবন্ত ও সফল।

সিম্ফনি ক্লাবের উদ্যোক্তাদের একজন বিজিত ধর। তিনি আলাপকালে জানান, আমাদের এখানে যে অনুষ্ঠানগুলো হয় তাতে শিশু–কিশোর ও প্রবীণ ব্যক্তিদের কোনো অংশগ্রহণ থাকে না বললেই চলে। আমাদের প্রতিটি অনুষ্ঠানই সাজানো হবে এদের নিয়ে। এখানে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের সঙ্গে আমাদের যে গ্যাপ সৃষ্টি হচ্ছে তা দূর করতে আমরা চেষ্টা করব। তা ছাড়া আমাদের গর্ব করার মতো যে বাঙালি কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি রয়েছে তা তাদের বোঝাতে হবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। বাঙালি কমিউনিটিকে এখানের মূলধারার রাজনীতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে আমরা কাজ করব।