বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন নিয়ে দায়ের করা মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আবারও পেছাল। এই মামলার নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ৮ জানুয়ারি। এ নিয়ে দুই দফা মামলার তারিখ পিছিয়ে গেল। সর্বশেষ মামলার তারিখ ছিল ২৭ নভেম্বর।
বাংলাদেশ সোসাইটির এবারের নির্বাচনে ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের সদস্য পদে দুজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবং মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরিয়ে দেওয়া এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির মনোনয়নপত্র বাতিলের আরজি জানিয়ে আলী আকবর, জিআর চৌধুরী ও শফিকুল ইসলাম নামের তিনজন বাদী হয়ে গত ১৮ অক্টোবর কুইন্সের আদালতে মামলা করেন।
এর আগে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে প্রথম আদালতের শরণাপন্ন হন সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা ওসমান চৌধুরী। তিনি গত সেপ্টেম্বরে কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেন (ইনডেক্স নম্বর ৭৮৫০/২০১৮।
আলী আকবর, জিআর চৌধুরী ও শফিকুল ইসলাম মামলা দায়েরের পরদিন গত ১৯ অক্টোবর মামলা খারিজ চেয়ে আপিল করেন সংগঠনের নেতারা। আদালত গত ৩০ অক্টোবর মামলার শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন। পরবর্তীতে মামলার নতুন তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল ২৭ নভেম্বর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলার নতুন তারিখের দিন ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বাদী-বিবাদীর দুই অ্যাটর্নির উপস্থিতিতে আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন আগামী ৮ জানুয়ারি। এদিন উভয়পক্ষের জবাব আদালত পর্যবেক্ষণ করবেন ও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের দ্বিবার্ষিক (২০১৯-২০২০) নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। নির্বাচনে রব-রুহুল ও নয়ন-আলী এই দুটি প্যানেলসহ কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। এ জন্য নিউইয়র্কের পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থাসহ নির্বাচন কমিশন সব প্রস্তুতিও নিয়েছিল।
এদিকে সোসাইটির নির্বাচন, দুই পক্ষ মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়ায় নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে হতাশা বিরাজ করে প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে। অনেকের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের দুই সদস্যকে বোর্ডে রাখা না-রাখা নিয়ে সোসাইটির অভ্যন্তরে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। সোসাইটির বর্তমান সভাপতি কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মকর্তা ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য আলী ইমাম শিকদারকে বহিষ্কার এবং আরেক সদস্য আজহারুল হক মিলনকে নোটিশ জারি করেছে। এ ব্যাপারে সোসাইটির কার্যকরী পরিষদ ও ট্রাস্টি বোর্ড সম্প্রতি যৌথ সভায় মিলিত হলেও এই সভার অফিশিয়াল কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।