উত্তেজনা হ্রাসে মোদির পরিকল্পনা জানতে চাইতে পারেন ট্রাম্প
সপ্তাহান্তে ফ্রান্সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সাক্ষাৎ হবে। এই সাক্ষাতের সময় আঞ্চলিক উত্তেজনা হ্রাসে মোদির পরিকল্পনা কী, তা তাঁর কাছে জানতে চাইতে পারেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
সম্প্রতি মোদি সরকার দেশটির সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেয়। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে।
মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর, বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেন, ফ্রান্সে যখন মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের দেখা হবে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন।
কাশ্মীর পরিস্থিতি ওয়াশিংটন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা।
ফ্রান্সে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হবে।
কাশ্মীর ইস্যুতে ট্রাম্প মধ্যস্থতা করার আগ্রহ একাধিকবার প্রকাশ করেছেন। হোয়াইট হাউসের নাম প্রকাশ না করা কর্মকর্তাও একই কথা জানান। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তান যদি চায়, হাতলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কাশ্মীর বিষয়ে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।
হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত দিয়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পাকিস্তান প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে যেসব জঙ্গিগোষ্ঠী অতীতে ভারতে হামলা চালিয়েছে, তাদের দমন করতে বলেছেন তিনি।
কাশ্মীর ইস্যুতে আগেও ভারত ও পাকিস্তানকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে যাবে বলে জানিয়েছে।
নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় ইস্যু। এখানে তৃতীয় কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।