বিশ্বের বয়স্কতম ব্যক্তি জাপানের কানে তানাকা
নারী-পুরুষ মিলিয়ে বিশ্বের বয়স্কতম ব্যক্তি এখন জাপানের কানে তানাকা (১১৬)। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। তাঁর পরিচয় দিতে গিয়ে গিনেস কর্তৃপক্ষ বলেছে, ১১৬ বছর বয়সে এসেও জাপানি এই নারীর গণিতে ভীষণ উৎসাহ। বোর্ড গেম ওথেলোরও একজন পাকা খেলোয়াড় তিনি।
কানে তানাকার জন্ম মানব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক বছরে। ১৯০৩ সালের ২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। রাইট ভাইয়েরা সে বছর প্রথমবারের মতো উড়োজাহাজ ওড়াতে সক্ষম হন। এর মাধ্যমে পাখির মতো ওড়ার শখ পূরণ হয় মানুষের, হাজার মাইলের দূরত্ব পরিণত হয় কয়েক ঘণ্টার যাত্রাপথে।
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ফুকুওকা শহরের একটি নার্সিং হোমে বসবাস করেন কানে। গতকাল সেখানে গিনেস স্বীকৃতি উদ্যাপনে খোদ নগরের মেয়র সোইচিরো তাকাশিমা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কানেকে জিজ্ঞেস করা হয়, তাঁর জীবনে সবচেয়ে খুশির মুহূর্ত এসেছিল কখন? জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন।’
১৯২২ সালে হিদিও তানাকার সঙ্গে বিয়ে হয় কানের। এরপর এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে চার সন্তান। একটি সন্তান দত্তকও নেন তাঁরা।
এখনো প্রতিদিন ভোর ছয়টায় ঘুম থেকে ওঠেন কানে। বিকেলটা তাঁর কাটে গণিত অধ্যয়ন আর ক্যালিগ্রাফি অনুশীলন করে। তাঁর অবসরের প্রিয় কাজ ওথেলো গেম খেলা। নার্সিং হোমের কেউ তাঁর সঙ্গে এই খেলায় পেরে ওঠেন না বলে জানিয়েছে গিনেস কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গড় আয়ুর দেশ জাপান। বয়স্কতম ব্যক্তির বেশির ভাগ রেকর্ডও তাদের দখলে। জাপানিদের খাদ্যতালিকায় চর্বি বা স্নেহজাতীয় খাবার কম থাকে। মাছ, ভাত, শাকসবজি বেশি খায় তারা। বয়স আশির কোঠায়ও জাপানিরা বেশ কর্মঠ থাকেন।
তবে কানে বর্তমানে বিশ্বের বয়স্কতম ব্যক্তি হলেও ইতিহাসের বয়স্কতম ব্যক্তির রেকর্ডটা এখনো ফ্রান্সের জ্যঁ লুইস ক্যালমোঁর দখলে। ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে মারা যান তিনি।