কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় ক্ষোভে উত্তাল উত্তর-পূর্ব ভারত
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ভারতের গোটা উত্তর–পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তানবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আসাম ও ত্রিপুরা সরকার নিহত জওয়ানদের পরিবারবর্গের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। চলছে মোমবাতির শিখায় প্রতিবাদ।
উত্তর-পূর্ব ভারতের আট রাজ্যেই চলছে বিক্ষোভ। পোড়ানো হচ্ছে পাকিস্তানের পতাকা। জঙ্গি হানার দায় চাপানো হচ্ছে পাকিস্তানের কাঁধে। দলমত-নির্বিশেষে মানুষ শোক জানাচ্ছেন নিহত জওয়ানদের। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন রয়েছেন আসামের বাসিন্দা। সেখানে ধরা পড়েছে বাড়তি শোকের ছবি।
সামনেই ভারতের সাধারণ নির্বাচন। তার আগে কাশ্মীরের এই ঘটনা। তবে এই ঘটনাকে নিয়ে দোষারোপের রাজনীতি থেকে বিরত সব দলই।
উত্তর-পূর্বের সবচেয়ে বড় রাজ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল নিহত জওয়ানদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানকে ‘উপযুক্ত শিক্ষা’ দেওয়ার সময় হয়েছে।
আসাম সরকার নিহত জওয়ানদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ২০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে।
আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ গতকাল আসামের গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটা রাজনীতির সময় নয়। গোটা দেশ সরকারের পাশে আছে। পাকিস্তানকে শক্ত জবাব দিতে হবে।’
আসাম থেকে শুরু করে সব রাজ্যেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে বের হয় মোমবাতি–মিছিল। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় মোমবাতি–মিছিলে অংশ নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও তাঁর মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও। গতকালই শুরু হয়েছে আগরতলা বইমেলা। জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়। এদিন ত্রিপুরা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পুলমওয়ামায় নিহত জওয়ানদের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে আর্থিক সাহায্য করবে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারত সরকার পাকিস্তানকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কড়া হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন।’
বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসও বিভিন্ন জায়গায় এদিন মোমবাতি–মিছিলে শামিল হয়। তবে সরকারবিরোধী কোনো স্লোগান শোনা যায়নি।