ব্রেক্সিটে আলো ছড়াতে পারে করবিনের চিঠি
কোনো চুক্তি ছাড়াই আগামী ২৯ মার্চ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার আগে নানা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রাসেলসে জোটের শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ার অচলাবস্থা নিরসন নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এতে বিচ্ছেদবিষয়ক খসড়া চুক্তি সংশোধন বিষয়ে কোনো বরফ গলেনি।
ব্রাসেলসে এই আলোচনাকালে যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নেতা জেরেমি করবিনের একটি নতুন প্রস্তাবসংবলিত চিঠি কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে। তিনি তাঁর নতুন প্রস্তাবে বলেছেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও যদি যুক্তরাজ্য ইইউ জোটের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান রাখে, তাহলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তাঁরা ব্রেক্সিট চুক্তিতে সমর্থন দেবেন। তবে তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের কাছে একটি বিবৃতি দাবি করেছেন।
জেরেমি করবিনের প্রস্তাবে ইইউ সদস্য দেশ আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে স্থল সীমান্তে তথাকথিত ‘ব্যাকস্টপ’ ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে যে চেষ্টা চালাচ্ছেন, তা ব্যর্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। তবে এই নতুন প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে গ্রহণ করলেও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রস্তাবের পক্ষে তাঁকে সমর্থন পেতে হবে।
ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক গতকাল যুক্তরাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নেতা জেরেমি করবিনের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। জার্মানির ‘ডের স্পিগেল’ পত্রিকা জানিয়েছে, ইইউ জোটের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতি আন্তোনিও তাজানি এবং ইইউ পার্লামেন্টের ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রধান আলোচক গায় ভেরহোফস্টেড বিষয়টি আশাপ্রদ বলে জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রাসেলসে ইইউর শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করে ‘ব্যাকস্টপ’ বিষয়ে নতুন করে আলোচনার জন্য আজ শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভার্ডাকারের সঙ্গে দেখা করতে রাজধানী ডাবলিনে যাচ্ছেন।
জার্মানির অর্থমন্ত্রী গতকাল এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বা লেনদেন রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয়ে জার্মানির কী করণীয়, তা নিয়ে জার্মানি প্রস্তুত আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।