অ্যাপে অর্ডার করলেই গাঁজা হাজির!

মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে গাঁজা অর্ডার দেওয়ার এই সুবিধা চালু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে গাঁজা অর্ডার দেওয়ার এই সুবিধা চালু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

গাঁজা পাওয়া এখন খুব সহজ। অনলাইনে খাবার যেভাবে অর্ডার করেন, ঠিক সেভাবেই গাঁজার ফরমাশ দিতে পারবেন। মূল্য পরিশোধের নির্দিষ্ট সময় পর গ্রাহকের হাতে পৌঁছে যাবে গাঁজার প্যাকেট। আর তাতে লেখা থাকবে, ‘এনজয় দ্য মোমেন্ট’!

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে গাঁজা অর্ডার দেওয়ার এই সুবিধা চালু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে। গাঁজার ব্যাপারে দেশটিতে নতুন আইন চালু হওয়ার পর থেকে ব্যবসায় এখন রমরমা অবস্থা। সেই সুযোগে গাঁজা বিক্রির অভিনব পন্থা চালু করেছে ‘ইজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

গত বছরের জানুয়ারি মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি রাজ্যে স্বল্প পরিমাণে গাঁজার বিক্রি বৈধ করা হয়েছে। চিকিৎসা বাদেও আমোদপ্রমোদের জন্য এখন গাঁজা কেনা যায়। সেই থেকে ওই সব রাজ্যে গাঁজার গ্রাহকের সংখ্যা উল্লেখজনক হারে বেড়ে গেছে।

ইজ অবশ্য এর আগেও অ্যাপের মাধ্যমে গাঁজা বিক্রি করত। তবে তা ছিল খুব সীমিত আকারে। ২০১৪ সাল থেকে এই সেবা চালু করেছিল ইজ। তবে সেটি পেতে গ্রাহককে চিকিৎসকের সনদপত্র দেখাতে হতো। অর্থাৎ চিকিৎসক লিখিতভাবে সুপারিশ করলেই কেবল গাঁজা বিক্রি করা যেত।

কিন্তু আইন পরিবর্তনের কারণে এখন আমোদপ্রমোদের জন্যও গাঁজা ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে বেশি পরিমাণে তা কেনা যায় না।

ইজ-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শিনা শিরাভি বিবিসিকে বলেন, ‘মানুষ এখন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে এক সাথে গাঁজা সেবন করতে চায়। সে ক্ষেত্রে বাড়ি পৌঁছে দিলে খুবই সুবিধা। এখন অনেক মানুষই প্রকাশ্যে এই সুযোগ নিচ্ছে। এটা অনেকটা আমাজনে গিয়ে কেনাকাটা করা বা নেটফ্লিক্সে ছবি বাছার মতো।’

নিজেদের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করছে ইজ। তারা বলছে, গাঁজার বিশ্বস্ত উৎস হিসেবে ইজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। বর্তমানে ৪০ থেকে ৬০ ধরনের ব্র্যান্ডের গাঁজা বিক্রি করছে এই প্রতিষ্ঠান। তবে ২১ বছরের কমবয়সী মক্কেলের কাছে গাঁজা বিক্রি করে না ইজ। আর বিক্রিও করে মেপে মেপে, খুবই কম পরিমাণে!