মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান তিনি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নতুন বছরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিস আলী। তিনি বলেছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য জোর ডাক দিতে হবে।


গতকাল সোমবার কলকাতায় অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি ফোরামের ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সাংসদ ইদ্রিস আলী।

১৯ জানুয়ারি মমতা কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজেপিবিরোধী রাজনৈতিক দলের মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন। সেই মহাসমাবেশে সবাইকে উপস্থিত হয়ে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন ইদ্রিস আলী। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কাজ আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। আমরা মনে করি, এ বছরের লোকসভা নির্বাচনে তিনিই হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর এ কারণে ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশ সফল করতে হবে। জোরদার করতে হবে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবিকে।’

ইদ্রিস আলী বলেন, ১৯ জানুয়ারির এই মহাসমাবেশ প্রমাণ করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই এ বছরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হবে। তিনিই হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ইদ্রিস আলী আরও বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার যা করছে, তা সংবিধানবিরোধী। তিন তালাকসহ অন্যান্য ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপকে আমরা মেনে নিতে পারি না।’

সভায় মাইনরিটি ফোরামের মুখপাত্র এম এ আলী বলেন, দেশপ্রেমিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁর বিকল্প এখনো তৈরি হয়নি। মানুষের স্বার্থেই তিনি রেলমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগও করেছেন। মানুষের কল্যাণে মমতা যেসব প্রকল্প গ্রহণ করেছেন, তা গোটা দেশ এবং বিদেশে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।

ভারতের লোকসভায় রয়েছে ৫৪৩টি আসন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে মমতা জিতেছিলেন ৩৪টিতে। কংগ্রেস ৪টি, বাম দল ২টি এবং বিজেপি ২টি আসনে জিতেছিল। এবার অবশ্য মমতা ঘোষণা দিয়েছেন, রাজ্যের ৪২টি আসনেই জিতবেন তাঁরা। কিন্তু এই ৪২টি আসনে জিতে কি মমতা প্রধানমন্ত্রীর পদ পাবেন, তা–ই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেননা, মমতা ছাড়াও এই পদের দাবিদার রয়েছেন অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, উত্তর প্রদেশের বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী কুমারী মায়াবতী, মহারাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির প্রধান শারদ যাদব, উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিং যাদবসহ আরও অনেকে। আর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তো আছেনই।

যদিও মমতার এই মহাসমাবেশে থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বাম দল সিপিএম, সিপিআই ও কংগ্রেস। ফলে, এই মহাসমাবেশ থেকে বিরোধীরা মোদিকে হারাতে একজোট হতে পারবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ, মোদি বিরোধী দলের মধ্যে নেতৃত্বের প্রশ্নে এখনো সমঝোতা হয়নি। তবে প্রক্রিয়া চলছে।