ছেলের বাবা পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী: জেমিমা
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁর সাবেক স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পিটিআই এগিয়ে থাকায় ইমরান খানকে এক টুইট বার্তায় এ অভিনন্দন জানান জেমিমা গোল্ডস্মিথ। টুইটে তিনি বলেন, তাঁর সন্তানের বাবা পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
গতকাল বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৭২টি আসনে সরাসরি ভোট হয়। সরকার গঠনের জন্য দরকার ১৩৭ আসন। ফলাফলে শেষ তথ্য অনুযায়ী, ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা ইমরান খানের পিটিআই স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছে। তবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনসংখ্যা থেকে বেশ পিছিয়ে পিটিআই।
নির্বাচনের পর এক টুইটে জেমিমা বলেন, অপমান, বাধা ও ত্যাগের ২২ বছর পর তাঁর ছেলের বাবা পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। টুইটে জেমিমা আরও বলেন, দৃঢ় মনোভাব, বিশ্বাস ও পরাজয়ের কাছে নতিস্বীকার না করার বড় ধরনের শিক্ষা ইমরানের আজকের বিজয়। ইমরানকে উপদেশ দিয়ে তিনি বলেছেন, ইমরান কেন রাজনীতিতে সর্বাগ্রে মনোনিবেশ করেছিলেন, তা তাঁর মনে রাখতে হবে। ইমরান রাজনীতিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিপক্ব, সে বিষয়টিও স্মরণ করেন ব্রিটিশ ওই নারী।
১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নেন পিটিআইয়ের প্রধান। ওই নির্বাচনে ইমরান অপরীক্ষিত, আদর্শবাদী ও রাজনৈতিকভাবে নবীন ছিলেন বলেও টুইটে উল্লেখ করেন জেমিমা।
ব্রিটেনের চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারির প্রযোজক জেমিমা গোল্ডস্মিথের সঙ্গে ইমরান খানের বিয়ে হয় ১৯৯৫ সালে। ২০০৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। সুলেইমান ও কাসেম নামে তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। এ বিয়ে না টেকার জন্য নিজের রাজনীতিতে আসাকে দায়ী করেছিলেন ইমরান খান।
২০১৫ সালে বিবিসির সংবাদ উপস্থাপিকা রেহাম খানকে বিয়ে করেন ইমরান খান। মাত্র ১০ মাস টিকেছিল সেই বিয়ে। ৬৫ বছর বয়সী ইমরান চলতি বছরে বুশরা মানেকার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন।
৪৭ শতাংশ কেন্দ্রের ভোট গণনার তথ্যের ভিত্তিতে দেশটির অনলাইন ডন-এর এক খবরে বলা হয়, পিটিআই এগিয়ে ১১৪ আসনে। দ্বিতীয় অবস্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ‘দল’ পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)। নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে দলটি এগিয়ে ৬৪ আসনে। তৃতীয় অবস্থানে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। পিপিপি এগিয়ে ৪২ আসনে।
নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে রক্ত ঝরিয়ে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। সেনা, পুলিশ সদস্যসহ নিরাপত্তা বাহিনীর আট লাখের মতো সদস্য মোতায়েনের পরও নির্বাচনী সহিংসতায় ৩৬ প্রাণ ঝরেছে। তথ্যসূত্র : ডন, এনডিটিভি