বরিশালে জীবনানন্দ মেলা
বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ইসলামের পর শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশ। নতুন প্রজন্ম জীবনানন্দ দাশকে ভুলতে বসেছে। জীবনানন্দের প্রকৃতি প্রেম ও দর্শন নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। বাড়াতে হবে জীবনানন্দচর্চা।
বরিশালে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী জীবনানন্দ মেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার।
গত শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় নগরের অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওই মেলার আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ, বরিশাল। মেলা উপলক্ষেÿ সাহিত্য আড্ডা, আলোচনা, গুণীজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাহিত্য আড্ডা বসে কবি জীবনানন্দ দাশের পৈতৃক বাড়িতে নির্মিত জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি মিলনায়তন ও পাঠাগারে। সন্ধ্যায় মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা, গুণীজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের অমর কবিতা ‘আবার আসিব ফিরে, ধানসিড়িটির তীরে এই বাংলায়’ দিয়ে শুরু হয় সন্ধ্যার অনুষ্ঠান। চলে সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান।
সম্মাননা জানানো হয়, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক বিজয় কৃষ্ণ দে, কবি ও সাংবাদিক নাসির আহমেদ, কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস, কবি ও সংগঠক মাহমুদ কামাল ও কবি অধ্যাপক জহর সেন মজুমদারকে। কবি ও সাহিত্যিকদের সম্মানিত করতে অতিথি হয়ে আসেন জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান এবং বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষÿ ভাস্কর সাহা।
সাহিত্য আড্ডায় ও আলোচনায় এপার বাংলা ওপার বাংলার কবি-সাহিত্যিকেরা বলেন, জীবনানন্দ দাশের কবিতায় এত বৈচিত্র্যময় রঙের খেলা রয়েছে, যা চর্চা না করলে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। জীবনানন্দ দাশ কবিতার ধারা বদলে দিয়েছেন। মাটি ও মানুষের ঘ্রাণ উপলব্ধি করতে হলে জীবনানন্দ দাশ পাঠ করতে হবে। জীবনানন্দ দাশকে ধারণ করতে হবে। বুঝতে হবে তাঁর দর্শন।
জাতীয় কবিতা পরিষদ বরিশাল জেলার সভাপতি কবি তপংকর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সাহিত্য আড্ডা, আলোচনা, সম্মাননা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কথা বলেন কাজল ঘোষ, চিত্রশিল্পী কাজী মোজাম্মেল হোসেন, কবি দীপংকর চক্রবর্তী, কাজল ঘোষ, পার্থ সারথি, পলাশ বালা মানিক প্রমুখ।