স্বপ্ন দ্রুত সত্যি হয়ে গেল: সারা
১৯৯৫ সালে গোবিন্দ আর কারিশমা কাপুর অভিনীত সুপারহিট ছবি ‘কুলি নম্বর ওয়ান’। সেই রাজু কুলি আর মালতীর আইকনিক প্রেমকাহিনি। নির্মিত হচ্ছে এই ছবির রিমেক। এই ছবিতে গোবিন্দ আর কারিশমা কাপুরের জায়গায় এবার দেখা যাবে বরুণ ধাওয়ান ও সারা আলী খানকে। ২০২০ সালের ১ মে মুক্তি পাবে এই ছবি। তা ছাড়া সারা আলী খানকে দেখা যাবে ইমতিয়াজ আলীর ‘লাভ আজকাল’ ছবির সিকুয়েলে।
সারার প্রথম দুটি ছবি ‘কেদারনাথ’ আর ‘সিম্বা’ দারুণ হিট। ক্যারিয়ারের একেবারে শুরু থেকেই সারা আলী খান পেয়েছেন দর্শকদের অকুণ্ঠ সমর্থন আর ভালোবাসা। তাঁকে বলা হচ্ছে শিক্ষা, পারিবারিক ঐতিহ্য, মেধা আর বিনয়—সবকিছুর সম্মিলনে বলিউডের ‘পারফেক্ট ভবিষ্যৎ’। ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’, ব্যক্তিগত জীবন আর ক্যারিয়ার নিয়ে সাক্ষাৎকারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সারা আলী খান।
এ বছরই প্রথম আইফার মঞ্চে পা রাখলেন। কেমন অভিজ্ঞতা?
আমি ছোটবেলা থেকেই আইফা অনুষ্ঠান দেখে বড় হয়েছি। কোনো পর্ব বাদ দিইনি। যখন দেখেছি, তখন ভাবিনি, আমিও একদিন এই মঞ্চে দাঁড়াব, সেরা নবাগত অভিনয়শিল্পীর পুরস্কার পাব। তবে ছোটবেলা থেকেই এই মঞ্চে দাঁড়াতে চেয়েছি, পারফর্ম করতে চেয়েছি। তাই এই দিনটা আমার কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো, যে স্বপ্ন খুব দ্রুত সত্যি হয়ে গেল।
আইফার মঞ্চে এমন কোনো পারফরম্যান্স আছে, যেটা আপনি মনে রেখেছেন?
২০১৩ সালে শ্রীদেবী ম্যাম পারফর্ম করেছিলেন। আমি সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। কিন্তু স্ক্রিনে দেখে মনে হয়েছে, ‘ওয়াও!’ কেউ তাঁর চেয়ে আরও ভালো করতে পারতেন, সেটা আসলে সম্ভব না। তাঁর জায়গা কেউ নিতে পারবেন না। তিনি সত্যিকারের কিংবদন্তি।
‘সিম্বা’, ‘কেদারনাথ’ থেকে এত ভালো সাড়া মিলবে, কখনো ভেবেছিলেন?
আমি বিশ্বাস করি, সততার সঙ্গে কোনো কাজ করলে তা কোথাও না কোথাও পৌঁছাবে। শিল্পী হিসেবে আমি কেবল সৎ থেকে অভিনয়ের চেষ্টা করেছি। একই সঙ্গে এই দুই ছবির শুটিং চলেছে। তবে আমার মনে হয়, দর্শক আমাকে আমার প্রাপ্যের চেয়ে বেশি দিয়েছে। আমি এ জন্য কৃতজ্ঞ।
‘কুলি নাম্বার ওয়ান’ ছবির রিমেকে আপনিই মালতী। আপনি কি কারিশমার মতো মালতী?
এখনই বেশি কিছু বলা যাবে না। একটু তো আধুনিকীকরণ হয়েছে। তা না হলে মানুষ দেখবে কেন? তবে কারিশমা কাপুরের মতো পর্দায় জাদু ছড়াতে পারব কি না, জানি না। আশা করি, তাঁর চরিত্রের সঙ্গে যেন আমি ন্যায়বিচার করতে পারি।
মূল ছবিটা দেখেছেন?
অবশ্যই। আমি ডেভিড ধাওয়ানের ভক্ত। আমি তাঁর সব ছবি দেখেছি। আলাদা করে বলতে গেলে ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’ আর ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’ ছবি দুটির কথা বলতেই হয়।
সহকর্মী হিসেবে বরুণ ধাওয়ান কেমন?
ও দুর্দান্ত। ওর সঙ্গে পর্দা ভাগ করার সময় প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নতি করতে হয়। নতুবা দর্শক ওর পাশে আপনাকে পাবে না।
তারকাখ্যাতি কেমন লাগে?
আমি তারকাখ্যাতি পেতে আসিনি। আমি কেবল আমার অভিনয়, সততা আর পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যেতে চাই। আমি জীবনের শেষনিশ্বাস পর্যন্ত অভিনয় করতে চাই। আর আশা করি, সেদিন এখনো অনেক দূরে।
তারকা মা–বাবার সন্তান হিসেবে চাপ অনুভূত হয়?
কখনো না। আমি সেই চাপ নিই না। নিলে আমার পক্ষে অভিনয় করা সম্ভব হতো না। আমি অভিনয় ভালোবাসি। সেই ভালোবাসা থেকেই নিজেকে উজাড় করে দিয়ে মানুষকে বিনোদিত করতে চাই।