স্বামীর কী কী গুণ থাকা চাই জানালেন রাকুল প্রীত
দক্ষিণী তারকা রাকুল প্রীত সিং অভিনয় ও সৌন্দর্যের ঝলকে জাদু ছড়াচ্ছেন বলিউডেও। ‘দে দে পেয়ার’ ছবিতে অজয় দেবগনের সঙ্গে রাকুল প্রীত সিংয়ের রসায়নও বেশ জমেছে উঠেছিল। ছবিটির আয়ও ২০০ কোটির ক্লাব ছাড়িয়ে যায়। এক জীবনে ক্রাশ খাওয়া রাকুল সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে স্বামী কেমন হবে, ডায়েট, ক্রাশ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন।
মে মাসে মুক্তি পাওয়া ‘দে দে পেয়ার দে’ ছবিতে নিজের বয়সের দ্বিগুণ বয়সী একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন রাকুল প্রীত। কিন্তু বাস্তবে আসলে এমন কাউকে পেলে বা ভালো লাগলে রাকুল আসলে কী করবেন। এর মজার উত্তর দিয়েছেন সেনা সদস্যর মেয়ে। রাকুল বলেন, ‘আমার তো কাউকে ভালোই লাগে না! আগে কাউকে মনে ধরুক, তারপর অন্য কথা ভাবা যাবে। আমি এখন সিঙ্গেল। আই অ্যাম ডায়িং টু হ্যাভ আ ক্রাশ!
বয়স ২৯। সামনে হয়তো বিয়ের সানাই বাজবে। এই উঠতি অভিনেত্রী স্বামীর তিনটি গুণ থাকতে হবে তার একটি বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমেই বলি, আমার পছন্দের মানুষকে অনেক লম্বা হতে হবে, অন্তত ছয় ফুট। একে আমি লম্বা, তারপর হিল পরি। আমি হিল পরে দাঁড়িয়েও যেন মাথা উঁচু করে তার দিকে তাকাতে পারি, এতটা লম্বা হতেই হবে স্বামীকে। মাথা নিচু করে তাকাতে হলে সেটা ভালো দেখাবে না। এখানেই ৯০ শতাংশ ছেলে বাতিল হয়ে যায়। কারণ, তারা অত লম্বা নয়।’
রাকুলের মনের মানুষের জীবনে আবেগ, ভালোবাসা, উৎসাহের মতো ব্যাপারগুলো থাকতে হবে। জীবনের কিছু উদ্দেশ্য থাকতে হবে। তিনি এমন কেউ হবেন না যিনি পার্থিব গতানুগতিক জীবনের প্রতি আগ্রহী হবে। তিনি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হবেন। তিনি যে বড় কেউ হবেন, এমন নয় কিন্তু জীবনে ভালো কিছু করতে চাওয়ার তাড়না থাকতে হবে।
রাকুলের মতে তাঁর মনের মানুষকে হতে হবে নির্ভেজাল সত্যিকারের মানুষ। তিনি বলেন, মেজাজ–মর্জিতে হবেন আমার মতো হাস্যরসাত্মক হবেন।
অনেক দিন ধরেই একা রাকুল। কিন্তু জীবনসঙ্গী বা মনের মানুষ হিসেবে কাউকে পাননি। রাকুল প্রীত বলেন, ‘আমি ঘোষণা দেওয়ার পরও কেন যে একা তা জানি না।’
এর আগে কিন্তু একজনে ক্রাশ খেয়েছিলেন রাকুল। তিনি তাঁর চেয়ে সাত বছরের বড় ছিলেন। কিন্তু সেটা শুধু ক্রাশ, সম্পর্ক বলা চলে না।
তামিল আর তেলেগু ছবিতে পরিচিত মুখ রাকুল এখন পরপর বলিউডের নতুন নতুন ছবি সাইন করছেন। ‘দে দে পেয়ার দে’-র পর ‘মারজাওয়া’ করছেন। সব জায়গায় একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয় কি না—‘স্পাইডার’ তারকা রাকুল বলেন, ‘আমি তো এভাবেও কাজ করেছি যে, সকালে হায়দরাবাদে শুট করে রাতেই মুম্বাইয়ে শুটিং করেছি। অসুবিধা ভাবলেই অসুবিধা, না ভাবলে আসলে কোনো ব্যাপারই না। সবটাই নিজের ওপর। এ ছাড়া আমার বাবা সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সারা জীবন বাবার বদলির কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হয়েছে আমাদের। ফলে আমার যেকোনো জায়গায় মানিয়ে নিতে অসুবিধা হয় না। আমি এখন এমন হয়ে গিয়েছি যে একটা পরিত্যক্ত দ্বীপে কাদা-মাটি দিয়ে বাড়ি তৈরি করে স্বচ্ছন্দে থেকে যেতে পারব। অসুবিধা হবে না।’
ফিটনেসের ব্যাপারে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি মদ একেবারেই খাই না। কোনো দিন খাইনি তাও কিন্তু নয়। কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ছেড়ে দিয়েছি। ফাস্ট ফুড খাই না। রোজ এক ঘণ্টা ওয়ার্ক আউট করি।’ তবে ডায়েট শব্দটা নিয়ে রাকুলের আপত্তি আছে। তার মতে, এটা শব্দটি খুব ডিপ্রেসিং। ভাজা, মিষ্টি আর প্রক্রিয়াজাত খাবার ছাড়া সব খান। বাড়িতে তৈরি ডাল-রুটি আর তরকারি তার রোজ খাদ্যতালিকায় থাকে।
দক্ষিণের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা নার্গাজুনের সঙ্গে রাকুলের নতুন ছবি ‘মানমাধুধু ২’ মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার। ২ দিনের ছবিটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাকুলের তামিল ছবি এন জে কে (নন্ধা গোপালা কুমারান) মুক্তির পরই বেশ সাড়া পড়ে যায়। ছবিতে রাকুল ছাড়াও আছেন দক্ষিণের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা সুরিয়া। বিশ্লেষকেরা বলেছেন, এই ছবির পর তামিল সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে রাকুলের অবস্থান অনেকটাই পাকা হয়ে গেল। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও বলিউড হাঙ্গামা
আরও পড়ুন:
আবারও রাকুল প্রীত