চট্টগ্রামে আইয়ুব বাচ্চুর নামে সড়ক
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর নামে চট্টগ্রামে একটি সড়কের নামকরণ করা হবে। এমনটাই জানালেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়িতে আইয়ুব বাচ্চুর নানার বাড়িতে টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদের কাছে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের মুসলিম হল ইনস্টিটিউটের একটি অংশের নাম আইয়ুব বাচ্চুর নামে করার ব্যাপারে তিনি প্রস্তাব করবেন। এই দুটি ব্যাপারই নিশ্চিত করেছে প্রথম আলোর চট্টগ্রাম অফিস।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রামের সম্পদ ছিলেন। দেশকে তিনি অনেক কিছু দিয়েছেন। এখন আমাদের দেওয়ার পালা।’
চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নাম আইয়ুব বাচ্চুর নামে করার ব্যাপারটি একেবারেই মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ওপর নির্ভর করছে। এটা তিনিই করতে পারবেন। তাই এ ব্যাপারে তিনি তেমনই আশ্বাস দিয়েছেন। তবে চট্টগ্রামের মুসলিম হল ইনস্টিটিউটের একটি অংশের নাম আইয়ুব বাচ্চুর নামে করার ব্যাপারে তাঁকে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাতে হবে। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে তিনি তা করতে পারবেন।
আজ বাদ আসর এখানে জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে আইয়ুব বাচ্চুর চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের মাঠে এই শিল্পীর মরদেহ রাখা হয়েছে। দুপুর থেকে এখানে তাঁর প্রতি সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এখানে বক্তব্য দিয়েছেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। জানাজার পর শহরের চৈতন্য গলি কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে আইয়ুব বাচ্চুকে দাফন করা হবে।
ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ আজ শনিবার সকালে আকাশপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া ইউএস–বাংলার উড়োজাহাজটি অবতরণ করে। বিমানবন্দরে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ গ্রহণ করেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহের সঙ্গে ঢাকা থেকে গেছেন তাঁর স্ত্রী, ছেলেমেয়ে আর স্বজনেরা।
গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে আহনাফ তাজোয়ার কানাডা থেকে আর মেয়ে ফাইরুজ সাফরা রাত দেড়টায় অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন। এরপর বিমানবন্দর থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। সেখানে শব হিমঘরে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ রাখা হয়। এ সময় তাঁদের সঙ্গে আরও ছিলেন আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার। বাবার মরদেহ দেখে ছেলেমেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে না-ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর গানের স্টুডিও মগবাজারে ‘এবি কিচেনে’। সেখানে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা হয়। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় চ্যানেল আই কার্যালয়ে। সেখানে তৃতীয় জানাজা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর মরদেহ রাখা হয় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।