থমকে গেল 'আমি নেতা হবো'র শুটিং
কক্সবাজারে নিরাপত্তাজনিত কারণে শাকিব খান ও বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত আমি নেতা হবো ছবির দ্বিতীয় ধাপের শুটিং স্থগিত হয়েছিল। দুদিন বসে থাকার পর ১৬ আগস্ট ঢাকায় ফেরে ছবির পুরো ইউনিট। এরপর ২১ আগস্ট ঢাকার লোকেশনে শুটিং শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ছবির পরিচালক উত্তম আকাশ জানিয়েছেন, ছবির চিত্রগ্রাহক, ফাইট ডিরেক্টর, নৃত্য পরিচালকসহ বেশ কিছু টেকনিশিয়ান কাজ করতে চাইছেন না।
উত্তম আকাশ বলেন, কলাকুশলীরা এই ছবিতে কাজ করতে নিরাপদ বোধ করছেন না। বিষয়টিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে এই পরিচালক বলেন, ‘উচ্চ আদালতের আদেশে শাপলা মিডিয়ার এই ছবিসহ আরও দুটি ছবির কাজে শাকিব খানের সঙ্গে চলচ্চিত্রের সব সংগঠনের কর্মীদের সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। সেই রায় নিয়েই আমরা শুটিং শুরু করি।’ তিনি বলেন, ‘ছবির ২৫ ভাগ কাজও শেষ হয়েছে। মাঝপথে এসে কেন এমন হচ্ছে, বুঝতে পারছি না।’
ছবির প্রযোজক সেলিম খান বলেন, ‘আমার মনে হয়, চলচ্চিত্র পরিবারের নেতারা টেকনিশিয়ানদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।’ মাস তিনেক আগে চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক ও অভিনেতা ফারুক সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে শাকিব খানের সঙ্গে সংগঠনটির দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। যদিও শাকিব খান বরাবর এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সে সময় চলচ্চিত্র পরিবারের অন্তর্ভুক্ত কোনো সংগঠনের নেতা-কর্মীকে শাকিব খানের সঙ্গে কাজ না করার বিষয়ে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেন তাঁরা। তার জের ধরেই শুটিংয়ে এমন সব ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন প্রযোজক সেলিম খান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করলেন চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্যসচিব ও চিত্রপরিচালক বদিউল আলম খোকন। তিনি বলেন, ‘আমরা কেন ভয়ভীতি দেখাব? সমস্যার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা চলচ্চিত্র পরিবারের অন্তর্ভুক্ত সংগঠনের কর্মীদের শাকিবের সঙ্গে কাজ না করার জন্য অনুরোধ করেছি মাত্র। কে শাকিবের সঙ্গে কাজ করবেন, কে করবেন না, সেটা তাঁদের বিষয়।’
ফাইট ডিরেক্টর দেলোয়ার হোসেন চুন্নুও বলেছেন, ‘ভয়ভীতি বড় কথা নয়, শাকিব ও চলচ্চিত্র পরিবারের মধ্যকার সমস্যা মিটে গেলে আমরা মিলেমিশে কাজ করতে পারি।’
তাহলে এখন এই ছবির ভবিষ্যৎ কী? পরিচালক বলেন, ‘এখন মনে হচ্ছে পুরোটাই শাকিব খানের ওপর নির্ভর করছে। তিনি বিষয়টির সুরাহা করতে পারেন।’ এদিকে শাকিব খান বললেন, ‘এখানে আমার কিছুই বলার নেই। শুটিং কীভাবে হবে না হবে, সেটা ছবির পরিচালক ও প্রযোজক দেখবেন।’