মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার ২০১৬
>অপেক্ষার পালা শেষ। এবার মেরিল–প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন কোন শিল্পীরা এখন তা–ই জানার পালা। ঝটপট জেনে নিন মনোনয়নপ্রাপ্ত শিল্পীদের অনুভূতি...
সেরা চলচ্চিত্র
শঙ্খচিল
ফরিদুর রেজা সাগর, প্রযোজক
খুব ভালো লাগছে। ছবিটি বেশ ভালো হয়েছে। জুরিবোর্ডে দেখে পছন্দ করে মনোনয়ন দেওয়ায় ভালো লাগছে।
আয়নাবাজি
সৈয়দ গাওসুল আলম শাওন, প্রযোজক
বাংলাদেশে যখন আমরা চলচ্চিত্র প্রযোজনায় এসেছি, তখন অবস্থাটা খুব বেশি ভালো ছিল না। অনেক সাহস করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি। সেই ছবিটা সবাই পছন্দ করেছেন, এটাই আমাদের জন্য আনন্দের। আর বাড়তি উৎসাহ হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন। এটা আমাদের সামনের কাজগুলোতে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দেবে।
জিয়াউদ্দিন আদিল, প্রযোজক
আমরা যখন আয়নাবাজি সিনেমাটি নিয়ে কাজ শুরু করি, তখন ভাবনায় ছিল এ ধরনের সিনেমা এ দেশের দর্শক নেবে কি না। কারণ গতানুগতিক পদ্ধতিতে ছবিটা নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল না। আমাদের ছবিটা দর্শক ভালোভাবে নিয়েছেন। দেখেছেন। এ জন্য কৃতজ্ঞতা। আর মেরিল-প্রথম আলো মনোনয়ন পাওয়া তো আরও আনন্দের।
অজ্ঞাতনামা
ফরিদুর রেজা সাগর, প্রযোজক,
আমার আরও একটা পছন্দের ছবি অজ্ঞাতনামা। দুটি ছবিই মনোনয়ন পাওয়ায় আনন্দটা বেশি। আমি খুব খুশি। আশা করছি দুটির একটি পুরস্কার পাব।
সেরা পরিচালক
সুমন ধর (দর্পণ বিসর্জন)
প্রথম শোনার পরপরই চোখে পানি চলে এসেছিল। প্রথম মাকে ফোন করেছিলাম। তারপর খুব কাছের এক বড় ভাইকে। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হব। বড় দুজন নির্মাতার সঙ্গে আমি আছি। এটা ভাবতেই ভালো লাগছে।
অমিতাভ রেজা চৌধুরী (আয়নাবাজি)
মেরিল-প্রথম আলো এ দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। অবশ্যই ভালো লাগছে। তবে আমার জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো, দর্শক ছবিটি দেখেছেন এবং আনন্দ পেয়েছেন।
তৌকীর আহমেদ (অজ্ঞাতনামা)
যে কোনো স্বীকৃতিই আনন্দের। কাজ যখন প্রশংসিত হয়, সেটি অনুপ্রেরণা তৈরি জোগায় এবং এতে দায়িত্ব বেড়ে যায়। আমার বেশ ভালো লাগছে।
সেরা অভিনেত্রী
নাবিলা (আয়নাবাজি)
৮ এপ্রিল আমার জন্মদিন ছিল। দিনটি বরাবরই আমার জন্য শুভ। কারণ এই দিনেই জানতে পেরেছিলাম আয়নাবাজি ছবিতে আমি কাজ করছি। আর এবার জন্মদিনে জানতে পারলাম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে সমালোচকদের বিবেচনায় সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছি। এটা আমার জন্য ছিল একটা বিশেষ চমক। এক সঙ্গে তিনটি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে কেমন লাগছে সেটি প্রকাশ করাটা আমার জন্য আসলে কিছুটা কঠিন। কারণ, আমি এতটা প্রত্যাশাই করিনি।
সাঁজবাতি (শঙ্খচিল)
সত্যি নাকি! আমি অনেক খুশি হয়েছি। এই ছবিটি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। আমারও ভালো লাগছে। তবে সব কৃতিত্ব প্রসেনজিৎ ও কুসুম শিকদারকে। ভালো লাগছে যে একই ছবির জন্য কুসুম শিকদারও মনোনয়ন পেয়েছেন।
কুসুম সিকদার (শঙ্খচিল)
এর আগে ২০১২ সালে আমি লালটিপ ছবির জন্য সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলাম। কিন্তু সেটি ছিল পপুলার বিভাগে। এবারই প্রথম সমালোচক বিভাগে মনোনয়ন পেলাম। পুরস্কার পাই বা না পাই, এটাই আমার জন্য বড় স্বীকৃতি। মনোনয়ন পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি। পুরস্কার পেলে অবশ্যই ভালো লাগবে। কিন্তু যেই বিভাগে আমি মনোনয়ন পেয়েছি, সেখানে মনোনয়ন পাওয়াই তো অনেক কঠিন ব্যাপার। এখানে মনোনয়ন পেয়ে তাই আমার অনেক বেশি ভালো লাগছে।
সেরা অভিনেতা
ফজলুর রহমান বাবু (অজ্ঞাতনামা)
এটা বড় ধরনের স্বীকৃতি। ছবিটিও বেশ ভালো। আর মেরিল-প্রথম আলো অনেক বড় একটা জায়গা। এখান থেকে মনোনয়ন পাওয়া সত্যি আনন্দের। অজ্ঞাতনামা দলের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
শাকিব খান (শিকারি)
ট্রেলার মুক্তির আগে থেকে শিকারি নিয়ে সবার আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছে। সিনেমা মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখেই মনে হয়েছে, এটি দর্শক হৃদয়ে ঠিকই জায়গা করে নেবে। এই সিনেমা মুক্তির পর চারদিক থেকে প্রশংসা পেয়েছি। প্রথম আলোর পাঠকেরাও আমাকে সেই সিনেমার জন্য মেরিল-প্রথম আলো তারকা পুরস্কারের জনপ্রিয় বিভাগে মনোনয়ন দিয়েছেন। দর্শকদের এমন ভালোবাসা আমার ভালো কাজের শক্তি। তাঁদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।
চঞ্চল চৌধুরী (আয়নাবাজি)
সব ধরনের দর্শকের কাছে ছবিটি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। পাশাপাশি সমালোচকদের কাছেও এটি প্রশংসিত হয়েছে দেখে ভালো লাগছে। ছবিটির গল্প, নির্মাণ সব মিলিয়ে সাধারণ দর্শক ও সিনেমা-বোদ্ধারা পছন্দ করেছেন বলে সাধুবাদ জানাতে হয় আয়নাবাজি টিমকে। দর্শক যে সানন্দে ছবিটিকে গ্রহণ করেছে, সে জন্য দর্শকদের এবং ছবিটিকে মেরিল-প্রথম আলো এগিয়ে রাখার জন্য জুরিবোর্ডকে ধন্যবাদ।
সেরা নাট্যকার
সারওয়ার রেজা জিমি (যোগ-বিয়োগ)
প্রথমত, অনুভূতি স্বাভাবিকভাবেই খুব চমৎকার। কৃতজ্ঞ এ জন্য যে সমালোচকেরা এত অসংখ্য নাটকের মধ্যে আমার নাটকটি পছন্দ করেছেন। তাঁরা দেখেছেন এবং মনোনীত করেছেন। মিডিয়ায় একদমই আমি নতুন। সে ক্ষেত্রে আনকোরা একজন হিসেবে আমাকে মনোনীত করাটা অপ্রত্যাশিত ছিল। দ্বিতীয়ত, হচ্ছে সমালোচকদের পছন্দটা খুবই স্পেশাল। আমি চেয়েছি আমার কাজটা সমালোচকদের দৃষ্টিতে আলোচিত হোক। সেই জায়গা থেকে আনন্দটা আরও বেশি। আমার সঙ্গে মনোনীত বাকি দুজনের জন্য ভালোবাসা ও শুভকামনা থাকল।
মাসুম শাহরিয়ার (হঠাৎ দেখা)
গত বছরের নাটক লেখকদের তিনজনের একজন আমি। এই একজন হওয়াটাও দারুণ ব্যাপার। বন্ধু স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষীরা অনেকেই আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁদের সেই অভিনন্দনও আনন্দের। নিঃসন্দেহে আমাকে আরও ভালো কাজের অনুপ্রেরণা দেবে। এই মনোনয়ন আমার কাছে অপ্রত্যাশিত সুখ স্পর্শ করার মতো ব্যাপার। ধন্যবাদ মেরিল-প্রথম আলো ও শ্রদ্ধেয় বিচারকদের।
সুমন আনোয়ার (কমলা সুন্দরী)
একটা ভালো কাজ যখন দর্শকসহ সমাজের আরও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মগুলোতে স্বীকৃতি পায় তখন লেখক হিসেবে একজন শিল্পীর দায়িত্ব বেড়ে যায়। এই ধরনের একটা স্বীকৃতি আরও দায়িত্বশীল করে। কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা তৈরি করে। সেই দায়িত্বটা নিলাম এই মনোনয়নের মধ্য দিয়ে। এই দায়িত্ব নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
সেরা পরিচালক
সাগর জাহান (মাধবীলতা গ্রহ আর না)
যেকোনো মনোনয়ন ভালো লাগার বিষয়। অনেক কষ্ট করে কাজ করার পর সেটার মূল্যায়ন ও ভালো লাগার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয়। এই অনুভূতিটা অনেক ভালো এবং ভেতরের অনুভূতি। আর আমার নাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপের জুরিবোর্ড ও আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আবু হায়াত মাহমুদ (হঠাৎ দেখা)
যেকোনো মনোনয়নই উৎসাহব্যঞ্জক। আমাদের দেশে এই সেক্টরে উৎসাহ দেওয়ার মতো হাতে গোনা দু-একটি আয়োজন ছাড়া তো নেই বললেই চলে। সেই জায়গা থেকে উৎসাহটা দিলে আরও ভালো কাজ করার, নতুন নতুন চিন্তাভাবনা করার সুযোগ তৈরি হয়। মনে হয় যে না ঠিক আছে, কেউ না কেউ কাজটার স্বীকৃতি দিচ্ছে। সেই জায়গা থেকে মনে হয় যে আরও ভালো কিছু করতে হবে। এই ব্যাপারটা তৈরি হয়।
সেরানিয়াবত শাওন (লিফলেট)
অনুভূতি বলে প্রকাশ করা যাবে না। পরিচালক হিসেবে এটা আমার প্রথম কাজ ছিল। তাই এটা আমার কাছে সত্যিই দারুণ খবর। মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম একটি আয়োজন। সে হিসেবে এটা আরও আনন্দের। খুবই ভালো লাগছে। অনেক পরিশ্রমের পর যখন একটা কাজ স্বীকৃতি পায়, তখন আসলেই খুব ভালো লাগে। পরের কাজটা আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা পাই।
সেরা অভিনেত্রী
অপি করিম (মাধবীলতা গ্রহ আর না)
মনোনয়ন নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। আমার শুধু একটি বাক্য বলার আছে। ধন্যবাদ। জুরিবোর্ডকে। এইটুকুই।
সাদিয়া জাহান প্রভা (লিফলেট)
অপি করিম আমার শিক্ষক। আর প্রীতি আপু অনেক বড় মাপের অভিনেত্রী। এই দুজনের সঙ্গে একই বিভাগে মনোনয়ন পাব, এটা কখনই ভাবিনি। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। বিচারকসহ সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
সানজীদা প্রীতি (কালারফুল)
এই নাটকটিতে অভিনয় করার সময়ও মনে হয়েছিল এটি সবাই পছন্দ করবে। এর জন্য মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এখন মনে হচ্ছে, যা ভেবেছিলাম সেটাই সত্যি হয়েছে। সম্মানিত জুরিবোর্ড সদস্যদের ধন্যবাদ। তাঁরাও আমার নাটকটি পছন্দ করেছেন!
সেরা অভিনেতা
সিয়াম আহমেদ (পথ জানা নেই)
আনন্দের থেকে বেশি সম্মানিত বোধ করছি। কেননা যাদের সঙ্গে মনোনয়ন পেয়েছি, তাঁরা আমার অনেক বড় ও অভিজ্ঞ। এত কম বয়সে এই বিভাগে মনোনয়ন পাবো তা কখনো আশাই করিনি।
তারিক আনাম খান (মাধবীলতা গ্রহ আর না)
চমৎকার একটি গল্পের নাটক এটি। এটি যখন সমালোচকদের কাছেও ভালো লেগেছে, তখন বলতে হয়, ব্যাপারটি বেশ আনন্দের। নাটকটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ এ জন্য যে, সবার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা সুন্দর একটি কাজ করতে পারলাম।
আফরান নিশো (যোগ-বিয়োগ)
মনোনয়ন পাওয়া সব সময়ই আনন্দের। কিন্তু যখন কোনো মনোনয়ন সমালোচকদের মাধ্যমে পাওয়া হয়, তখন সেই মাত্রাটা বেড়ে যায়। আমি এর আগে মেরিল-প্রথম আলোর দর্শকদের ভোটে মনোনয়ন পেয়েছিলাম কিন্তু সমালোচকদের মাধ্যমে এটাই প্রথম। এই জন্য আনন্দের মাত্রাটা আরও বেশি।