সফল খেলোয়াড় হতে হলে শারীরিক ফিটনেস যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন ক্রীড়াকৌশল ও মানসিক প্রশান্তিও। আর খোলোয়াড়দের জন্য এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করে একজন ক্রীড়াবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ। ক্রীড়াবিজ্ঞান হচ্ছে প্রশিক্ষণের বিজ্ঞানভিত্তিক চর্চা। কোনো ক্রীড়াবিদের শারীরিক, মানসিক ও কৌশলগত বিষয়গুলো নিয়ে যাদের কাজ।
ক্রীড়াবিজ্ঞানের ওপর ১০ মাস মেয়ািদø স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা করানো হয় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই ডিপ্লোমার জন্য ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আবেদনের শেষ তারিখ ২৭ জুন। ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর এমাদুল হক জনান, এবার আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এতে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।
যেসব বিষয় পড়ানো হয়: ক্রীড়াবিজ্ঞানের চারটি বিষয়ের ওপর এই ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এগুলো হলো এক্সারসাইজ ফিজিওলজি, স্পোর্টস সাইকোলজি, স্পোর্টস বায়োমেকানিকস ও সায়েন্স অব স্পোর্টস ট্রেনিং।
ভর্তির যোগ্যতা: যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকেøস্নাতক বা সমমান ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা এই ডিপ্লোমা কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। তবে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক এই তিনটি পরীক্ষার কমপক্ষে একটিতে দ্বিতীয় বিভাগ অথবা জিপিএ-২ থাকতে হবে। এক্সারসাইজ ফিজিওলজি ও স্পোর্টস বায়োমেকানিকস বিষয়ে ভর্তির জন্য বিজ্ঞানে স্নাতক হতে হবে। আর স্পোর্টস সাইকোলজি বিষয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারবে স্নাতকে মনোবিজ্ঞান বিষয় ডিগ্রিধারীরা। সায়েন্স অব স্পোর্টস ট্রেনিং বিষয়ে ভর্তি হতে চাইলে আবেদনকারীকে বিপিএড বা এমপিএড ডিগ্রিধারী হতে হবে। এ ছাড়া ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বিভাগীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষকদের।
যোগাযোগ: বিকেএসপির ওয়েবসাইটে www.bksp-bd.org অথবা পত্রিকায় প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সরাসরি বা ডাকযোগে আবেদন জমা দিতে হবে বিকেএসপির এই ঠিকানায়: মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জিরানী, সাভার, ঢাকা। এ ছাড়া আবেদন করা যাবে ([email protected]) ই-মেইলেও।