তীব্র মন্দায় জাপানের অর্থনীতি

করোনার কারণে অর্থনৈতিক দুর্দশা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে জাপানে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ এই অর্থনীতির মোট দেশজ উৎপাদন কমেছে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় জাপানের মোট দেশজ উৎপাদন কমেছে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ছবি: রয়টার্স

করোনার কারণে অর্থনৈতিক দুর্দশা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে জাপানে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ এই অর্থনীতির মোট দেশজ উৎপাদন কমেছে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আসলে করোনার আগেই সংকটে ছিল জাপান। চলতি বছরের শুরুতেই মন্দায় পড়ে অর্থনীতি। সাধারণত, পরপর দুই প্রান্তিকে অর্থনীতি সংকুচিত হলে তা মন্দায় পড়েছে বলে বলা হয়। এরপর করোনার কারণে সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এপ্রিল থেকে জুন মাসে জিডিপি কমেছে আশঙ্কার অনেক বেশি, যা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পতন।

অর্থনৈতিক এক দুর্দশার অন্যতম কারণ হলো ভোক্তা ব্যয় ব্যাপক কমে যাওয়া। দেশটির অর্থনীতির অর্ধেক নির্ভরশীল এই ভোক্তা ব্যয়ের ওপর। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য মহামারির কবলে পড়ায় রপ্তানিও তীব্র হ্রাস পেয়েছে। নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী টানা তিন প্রান্তিকে সংকোচন হলো অর্থনীতির, যা কিনা ১৯৫৫ সালের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থান। গত বছর বিক্রয় কর ১০ শতাংশ বাড়ায় সরকার। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় হাগিবিসের কারণে অর্থনীতি ধুঁকছিল।

তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এমনটা ধারণাই করা হচ্ছিল। করোনার কারণে সৃষ্ট সংকট থেকে কেউই রেহাই পাবে না। লকডাউন না থাকলেও বেশির ভাগ মানুষ বাসায় অবস্থান করছে এবং খরচ কমিয়ে দিয়েছে। মে মাসেই লকডাউন উঠিয়ে নিলেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে যে ভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে পারে, যা অর্থনীতিকে আঘাত করছে।

অবশ্য অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, সামনের মাসগুলোয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আছে। করোনার সংকট মোকাবিলায় বড়সড় পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।