মেয়ের বাড়ির ইফতারি বেচাকেনায় ব্যস্ত সবাই
বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বিয়ের পর প্রতিবছরই বাবার বাড়ি থেকে বেশ আয়োজন করে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ইফতারসামগ্রী পাঠানোটা রীতিমতো একটা আঞ্চলিক প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রথাকে কেন্দ্র করে রমজান মাসজুড়ে এ অঞ্চলের মৌসুমি ইফতারসামগ্রীর বাজার যেন অন্য এলাকাগুলোর চেয়ে একটু বেশিই রমরমা থাকে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। রমজানের এই শেষ দিকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মেয়েদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ইফতারসামগ্রী বেচাকেনায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা।
নজরুল ইসলাম খান ও জয়নাল আবেদীন বলেন, বিয়ে দিলেই মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয় না। বাবার বাড়ির সঙ্গে সম্পর্কও শেষ হয় না। মেয়ে ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয় রমজানের ইফতারি ও ফলমূল পাঠিয়ে। এই ইফতারি পাঠানোটা কোনো বাধ্যতামূলক নিয়ম না। তবে এতে শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের মানসম্মান বাড়ে। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বাবার বাড়ির আন্তরিকতা বাড়ে।
শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ম মুর্শেদুর রহমান বলেন, মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ইফতারি ও আম-কাঁঠাল দেওয়া সিলেট অঞ্চলের একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। এখনো সবাই এ ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন।
শমশেরনগর বাজারে গত ২৮ মে দুপুরে মৃদুল হোটেল রেস্তোরাঁয় গিয়ে দেখা যায়, শুধু মেয়ের বাড়ির ইফতারি বিক্রিতে দোকান মালিক আর কর্মচারীরা ব্যস্ত। দোকানি হাজি আকমল হোসেন বলেন, রোজার প্রথম থেকে ১০-১২ রমজান পর্যন্ত সাধারণ রোজাদারদের ভিড় বেশি ছিল। এখন রমজানের শেষ দিকে এসে মেয়ের বাড়ির ইফতারি সরবরাহে ব্যস্ত তাঁরা।