আক্রান্তদের পরিবারের জন্য স্থায়ী ভিসা

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ও জীবিত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের স্থায়ী বসবাসের ভিসা দেবে দেশটির সরকার। দেশটির অভিবাসন বিভাগ কর্তৃক চালু করা ‘ক্রাইস্টচার্চ রেসপন্স’ নামের বিশেষ এই স্থায়ী ভিসার আবেদন ২৪ এপ্রিল থেকে নেওয়া শুরু হয়েছে। গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে যাঁরা বসবাস করছিলেন, তাঁরা ও তাঁদের পরিবারের নিকট সদস্য এ ভিসায় আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী হামলার শিকার কি না, তা খতিয়ে দেখে ভিসা মঞ্জুর করা হবে। তবে হামলার দিন ক্রাইস্টচার্চে ভ্রমণ, ক্রীড়া ও ব্যবসায়িক ভিসার মতো অস্থায়ী ভিসায় অবস্থানকারীরা এ ভিসায় আবেদন করতে পারবেন না। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির অভিবাসন বিভাগের ওয়েবসাইটে নতুন এ ভিসার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিশেষ ভিসাটিকে মানবিক প্রতিক্রিয়ার ভিসার অন্তর্গত করে চালু করা হয়েছে। যাঁরা এ ভিসা নিতে আগ্রহী, তাঁদের অভিবাসন বিভাগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রথমে আগ্রহের কথা জানাতে হবে। আগ্রহী ব্যক্তি ভিসার জন্য যোগ্য হলে ভিসায় আবেদন করার পরবর্তী দিকনির্দেশনা জানিয়ে দেবে অভিবাসন বিভাগ। এ ভিসার আবশ্যিক শর্ত হিসেবে রয়েছে ১৫ মার্চ ২০১৯ তারিখে ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদ ও লিনউড মসজিদে অবস্থানকারী হতে হবে। হামলায় জীবিত ও নিহতের নিকটতম পারিবারিক সদস্য হতে হবে। নিউজিল্যান্ডের ভ্রমণ, ক্রীড়া ও অস্থায়ী ব্যবসায়িক ভিসা ছাড়া যেকোনো বসবাসের ভিসাধারী হতে হবে। তবে বসবাস, কর্ম ও শিক্ষা ভিসা ছাড়া অন্য ভিসাধারী হলে আবেদনকারীকে হামলার সময় ক্রাইস্টচার্চে অবস্থানের প্রমাণ দেখাতে হবে। আবেদনকারী হামলায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য বলতে অভিবাসন বিভাগের সাধারণ পরিবারের সদস্যের বাইরেও আরও অনেকে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া অস্থায়ী ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন নিউজিল্যান্ডের বাইরে অবস্থানকারী হামলার ভুক্তভোগী হয়ে থাকলেও এ ভিসায় আবেদন করা যাবে।

স্থানীয় পুলিশের কাছে হামলার দিন মসজিদে উপস্থিত ও নিহতদের নামের তালিকা রয়েছে। হামলার দিন কোনো জরুরি সেবা প্রদানকারী এ ভিসায় আবেদন করতে পারবেন না। ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিলের পর এ ভিসায় আর আবেদন করা যাবে না। এ ভিসার বিস্তারিত জানা যাবে অভিবাসন বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে।

গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই দিন শুক্রবার জুমার নামাজের সময় এক সন্ত্রাসীর অতর্কিত বন্দুক হামলায় কয়েকজন বাংলাদেশিসহ ৫০ জন নিহত হন। ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিককে আটক করা হয়।
...

কাউসার খান: অভিবাসন আইনজীবী, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
ই–মেইল: <immiconsultants@gmail.com>