
স্বাধীন দেশের মুক্ত পরিবেশে মানুষের শ্রম ও মেধার অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আজ একটি উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতে আরও বেগবান হবে। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় এ মন্তব্য করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান।
তিনি ১৬ ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়কে সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নৈতিক শক্তির বিজয় হিসেবে উল্লেখ করে আরও বলেন, এই বিজয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয় ও একটি ঘুণে ধরা সামন্তবাদী ভাবধারার বিপরীতে একটি আধুনিক প্রগতিশীল আদর্শের বিজয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য দেশ রেখে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাযথ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

পাকিস্তানের বাংলাদেশ হাইকমিশন মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদ্যাপন করেছে মহান বিজয় দিবস। ইসলামাবাদে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে গত রোববার (১৬ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে চান্সারি প্রাঙ্গণ ক্ষুদ্রাকৃতির জাতীয় পতাকা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, বিজয় দিবসের পোস্টার ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে মনোরমভাবে সাজানো হয়।
সকালে চান্সারি প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন হাইকমিশনার তারিক আহসান। পতাকা উত্তোলনকালে মিশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ছাড়া, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।। এরপর মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় শীর্ষক একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এরপর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি, হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও তাদের ছেলেমেয়েরা বেশ কয়েকটি সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন এবং কবিতা আবৃত্তি করেন। বিজ্ঞপ্তি