এস্তোনিয়ায় প্রথমবারের মতো বিজয় দিবস উদ্যাপন

এস্তোনিয়ার তালিন শহরে অল্প কিছুসংখ্যক বাংলাদেশিদের বসবাস। তাদের প্রায় সবার অংশগ্রহণে এ বছর প্রথমবারের মতো দেশটিতে উদ্যাপন করা হয়েছে মহান বিজয় দিবস। আমরা বাংলাদেশিরা কিছুটা সময়ের জন্য একত্রিত হয়েছিলাম দেশের কথা, স্বাধীনতার কথা, বিজয়ের কথা আর মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করার জন্য।

আয়োজনের শুরুতেই থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জাতীয় সংগীতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন দিয়ে শুরু হয় আমাদের অনুষ্ঠান। মাহমুদ আর ইসমিতা সঞ্চালক হিসেবে আবারও তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান এগিয়ে যায়।

গান পরিবেশন করেন রায়হানা, ফারহান, হাফিজ, ওমর ফারুক, ইসমিতা, দোলা, ফাহিমা হোসেন, শান্তা, ওয়ালিদ, আমিনুল ইসলাম ও সাইদ। শিশুদের মধ্যে গান পরিবেশন করে তাসনুভা আর ফারিশা। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করতে এ রকমই তো দরকার। কবিতা আবৃত্তিতে করেন মাসুদ, লেখক, ইসমিতা আর সায়েম। উজ্জীবিত করতে চরমপত্র পাঠ করেন মুজাহিদ। একটি ব্যতিক্রমধর্মী পরিবেশনায় বিশেষ সংগীতশ্রুতি শোনান হাফিজ। গিটারে মন্ত্রমুগ্ধ করেন ফারহান, ওয়ালিদ আর আকাশ। উকুলেলেতে থাকেন আমিনুল ইসলাম। আর বাঁশি দিয়ে আমাদের অন্য রকম এক পরিবেশে নিয়ে যায় ফারহান।

অনুষ্ঠানটির জন্য আমাদের সুন্দর একটি পোস্টার এঁকে দেন নুসরাত জাহান। স্থিরচিত্র গ্রহণ ও ভিডিও ধারণে ছিলেন শুভ ও স্বরূপ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন লেখক। অনুষ্ঠানটির স্থান আর খাবার পৃষ্ঠপোষকতা করেন এস্তোনিয়ায় হুক্কাহ প্যালেস রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী রানা রহমান। খাবার সরবরাহে সহযোগিতা করেন আদিল।

পুরো অনুষ্ঠানটি আমাদের সবাইকে কিছু মুহূর্তের জন্য এক অন্যরকম পরিবেশে নিয়ে যায়। আমরা উজ্জীবিত হয়ে উঠি দেশের জন্য ভালো কিছু করবার জন্য। আমরা সবাই বিশ্বাস করি, সবাই যদি নিজ নিজ জায়গায়, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত আদর্শ নিয়ে সততার সঙ্গে কাজ করে যাই, তাহলেই দেশ সামনে এগিয়ে যাবে। এটাই হোক সুদূর প্রবাসে থেকে বিজয় দিবসের কামনা।
ড. মুহিদুল ইসলাম খান: সিনিয়র লেকচারার, তালিন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজি, তালিন, এস্তোনিয়া।