তনু হত্যাসহ গুম-খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের অবরোধ

তনুসহ সারা দেশে অব্যাহত গুম-খুন-ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও অবরোধ চলছে। এতে এসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আজ সারা দেশে আধা বেলা হরতাল ডেকেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য। সকাল ছয়টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধ শুরু হয়। এতে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ব্যানারে ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। সকাল নয়টার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে অবরোধ চলছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, তনু হত্যা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যাসহ সারা দেশে সংঘটিত বিভিন্ন হত্যার বিচারের দাবিতে তাঁরা অবরোধ করছেন।
গত ২০ মার্চ রাতে তনুর লাশ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাস এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো ওই হত্যাকাণ্ডের রহস্যের কোনো কিনারা করতে পারেনি।
আজ সারা দেশে সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আধা বেলা হরতাল পালন করবে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য। হরতালে সিপিবি, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী ও নারী সংগঠন সমর্থন জানিয়েছে।

৭ এপ্রিল তনু হত্যার বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়। ওই দিন সরকারকে তনু হত্যার বিচারের দাবিতে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ২৫ এপ্রিল হরতাল আহ্বান করা হয়।
জোটের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইতিমধ্যে ১৪টি রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী ও নারী সংগঠন এই হরতালের সমর্থনে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক আহমেদ কামাল, অধ্যাপক আজফার হোসেন, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক এম এম আকাশ, শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু, শিল্পী অরূপ রাহীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী, সমাজকর্মী ও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হরতালে সমর্থন দিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হরতাল সফল করতে সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেবেন। রাজধানীতে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, পল্টন মোড়, মৌচাক মার্কেটের সামনে, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, সূত্রাপুর-সদরঘাট এলাকায় দুই জোটের কর্মীরা মাঠে থাকবেন। এ ছাড়া দেশের সব জেলা ও থানা শহরে নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবেন।
আরও জানতে পড়ুন
আজ সারা দেশে আধা বেলা হরতাল