হীরকজয়ন্তী উৎসব আজ

মাত্র সাতজন শিক্ষার্থী নিয়ে ১৯৪০ সালে খুলনা নগরের আহসান আহমেদ সড়কের একটি বাড়ির একাংশে আর কে গার্লস কলেজ নামে পথচলা শুরু করেছিল খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ। কালের পরিক্রমায় এখন সেই প্রতিষ্ঠানে ৭৫ জন শিক্ষকের পাশাপাশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজারের বেশি। উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি চালু হয়েছে স্নাতক, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর বিভাগ।
পদ্মার এপারের ২১ জেলার প্রথম মহিলা কলেজটির ২০১৫ সালে ৭৫ বছর পূর্তি হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বুধবার কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে হীরকজয়ন্তী উৎসব। খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
১৯৭৩ সালে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছিলেন গুলশান আরা বেগম। বর্তমানে তিনি খুলনার সরকারি বিএল কলেজের অধ্যক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ বাংলার নারী শিক্ষার অহংকার এ প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে সব সময় গর্ব অনুভব করি। উৎসবে পুরোনো বন্ধুদের অনেকের দেখা পাব ভাবতেই শিহরণ কাজ করছে।’
হীরকজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সূত্র জানায়, আজ সকাল সোয়া ৯টায় হীরকজয়ন্তীর স্মারকস্তম্ভ উন্মোচন করা হবে। এরপর শোভাযাত্রা ও ৯টা ৪৫ মিনিটে উদ্বোধন হবে অনুষ্ঠানের। ১০টা ২০ মিনিটে ‘গৌরবের ৭৫ বছর’ নামের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হবে। দুপুর ১২টায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন শিক্ষামন্ত্রী।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মাদ আবদুল আলীমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও স্থানীয় কয়েকজন সাংসদ।