পুরির সঙ্গে পেঁয়াজ না দেওয়ায় হাতাহাতি, শেষে থানা-পুলিশ
হোটেলে গেছেন পুরি খেতে। পুরি আসার পর একটা পেঁয়াজ চাইলেন। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় তা দিতে নারাজ হোটেল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির পর রীতিমতো হাতাহাতি। শেষ পর্যন্ত থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টা। গত সোমবার গাজীপুরে ঘটেছে এ ঘটনা।
পুরি খেতে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. শাওন। তিনি গাজীপুরের গাজীপুরা এলাকার বাসিন্দা। শাওন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুরির সঙ্গে পেঁয়াজ হলে খেতে ভালো লাগে। আমি একটু পেঁয়াজ দিতে অনুরোধ করেছিলাম। হোটেলের লোকজন তা দিতে রাজি হননি। আমি আলাদা করে পেঁয়াজের দাম দিতে চেয়েছিলাম। তারপরও তাঁরা পেঁয়াজ দেননি। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই ঘটনা ঘটে।’
শাওন সোমবার সন্ধ্যায় টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই জিডির অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাওন ওই দিন সন্ধ্যায় গাজীপুরা এলাকার আজিজ সুপার মার্কেটে অবস্থিত একটি হোটেলে যান। তিনি দোকানের লোকজনকে পুরি দিতে বলেন। মতিন নামের একজন তাঁকে পুরি সরবরাহ করেন। তখন শাওন আলাদা করে পেঁয়াজ চান। কিন্তু মতিন তাঁকে জানিয়ে দেন, এখন পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। তাই পেঁয়াজ দেওয়া সম্ভব নয়। এ নিয়ে প্রথমে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে গড়ায়।
তবে হোটেলের মালিকপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা। ফয়েজ নামের ওই হোটেলের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা পেঁয়াজ দিতে চাইনি কথাটি ঠিক নয়। মূলত পেঁয়াজ দিতে দেরি হওয়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল।’
টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুব্রত কুমার পোদ্দার বলেন, বিষয়টি আসলেই পেঁয়াজের কারণে কি না, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে থানার একজন উপপরিদর্শককে (এসআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।