দিনভর ঝিরঝিরে বৃষ্টি, নগরজীবনে ভোগান্তি
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে গতকাল শনিবার সকাল থেকেই ঝিরঝির বৃষ্টি ঝরছে ঢাকায়। এতে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটে। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় স্বাভাবিকের চেয়ে যানবাহন ছিল কম। এ সুযোগে ভাড়া বাড়িয়ে দেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার চালকেরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঢাকায় ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ রোববারও সারা দিন বৃষ্টি হতে পারে।
গতকালের বৃষ্টিতে কোথাও জলাবদ্ধতার খবর মেলেনি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় দুপুর পর্যন্ত যানজট পরিস্থিতিতেও তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে বিকেলে কিছু রাস্তায় যানবাহনের চাপ দিনের অন্য সময়ের তুলনায় বেশি ছিল। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাস্তায় যানবাহনের চাপ এর চেয়ে বেশি থাকে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে রাস্তায় যানবাহন ছিল তুলনামূলক কম।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্য দিনগুলোর তুলনায় রাস্তায় মানুষজন কম। মানুষের তুলনায় গণপরিবহনও ছিল কম। দুপুরে মৎস্য ভবন মোড়ে বেশ কিছু মানুষকে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এদিকে বৃষ্টিতে যানবাহন কমে যাওয়ায় রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা ভাড়া বাড়িয়ে দেন। অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবার ভাড়াতেও এর প্রভাব পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন। রাইড শেয়ারিং সেবায় নিয়মিত চলাচল করা মোহাম্মদ বেলাল বলেন, বৃষ্টি হলেই অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবার ভাড়া বেড়ে যায়। তিনি বলেন, যে পথে যেতে অন্য দিন ৮০ টাকা ভাড়া লাগত, সেখানে যেতে আজ (গতকাল) ১২০-১২৫ টাকা লাগছে।
দুপুরে শাহবাগ থেকে কারওয়ান বাজারে আসা এক ব্যক্তি বলেন, পরীবাগ মোড়ের কাছে তিনি বাসে ওঠেন। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সোনারগাঁও মোড়ে এসে যান। তবে এরপর হেঁটে কারওয়ান বাজার আসতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়েন। ঝিরঝির বৃষ্টিতে কারওয়ান বাজারের প্রায় প্রতিটি রাস্তাতেই কাদা জমে যায়। এমন রাস্তায় হাঁটাও কষ্টকর।
মানুষের ভোগান্তি ছিল সদরঘাটেও। বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার পর সেখান থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে নৌপথের যাত্রীরা।