বাস-প্রাইভেট কার সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীসহ নিহত ৪
নরসিংদীর শিবপুরের কারারচরে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে রাজধানীর বেসরকারি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির তিন শিক্ষার্থীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন পাঁচজন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শিবপুরের কারারচর এলাকার মদিনা জুট মিলের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলছেন, প্রাইভেট কারটিতে মোট পাঁচজন ছিলেন। তাঁরা সিলেটে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ঢাকায় ফেরার পথে কারারচরে সিলেটগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে প্রাইভেট কারটির সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেট কারটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ভেতরে থাকা চার যাত্রী নিহত হন। একজন গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষের পর বাসটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়।
নিহত চারজন হলেন ঢাকার রমনার নয়াতলা এলাকার মৃত আবুল কালাম আজাদের ছেলে ইমরান হোসেন (৩০), তাঁর স্ত্রী সাদিয়া আক্তার (২৪), খিলগাঁও এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে জান্নাত (২৫) এবং উত্তর গোরান এলাকার রেজাউল হকের ছেলে আকিব (২৭)। তাঁদের মধ্যে সাদিয়া, জান্নাত ও আকিব রাজধানীর মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর শিক্ষার্থী। আর ইমরান সাদিয়ার স্বামী। ইমরান, জান্নাত ও আকিব ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর নরসিংদী জেলা হাসপাতালে যাওয়ার পর সাদিয়াকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
প্রাইভেট কারে থাকা সজল (২৫) নামের আরও একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে প্রথমে নরসিংদী ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত বাকি চারজনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস বলছে, ওই পাঁচজন সিলেটের কয়েকটি জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঢাকায় ফেরার পথে বাসটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর নরসিংদী ও শিবপুরের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা বাস ও প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করেছি। লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
আরও পড়ুন :