এ অপেক্ষার কূল কোথায়?
রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন রুটের একাধিক বাস কাউন্টার রয়েছে। বছরের প্রতিটি দিনই এ এলাকা অসংখ্য দূরপাল্লার বাস আর যাত্রীদের আসা–যাওয়ায় ব্যস্ত থাকে। তবে আজ শুক্রবার সকালের দৃশ্যটি ছিল কিছুটা ভিন্ন। অসংখ্য যাত্রী আছেন ঠিকই, কিন্তু বাসের দেখা নেই। এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা সময় পার হলেও বাস আসছে না।
বাসের দেখা না মিললেও যাত্রীদের ভিড় বেড়েই চলেছে। ঈদুল আজহার কারণে ঢাকা ছাড়ছে অসংখ্য মানুষ।
শেখ তানজিমুল হক নামে অপেক্ষমাণ এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। সকাল আটটার বাসে ওঠার জন্য এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রামপুরার বাসা থেকে শ্যামলীতে চলে এসেছেন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে। এসেই জানতে পারেন বাস আটকে আছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ফেরিঘাট পার হয়ে পাটুরিয়া এসে একে ট্রাভেলসের বাসটি কখন শ্যামলীতে আসবে, এর সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না কাউন্টারের লোকজনও। তানজিম কাউন্টারে গেলে তাঁকে বলা হয়, বাস ফেরি পার হয়নি।
প্রথম আলোকে তানজিম বলেন, ‘স্বাভাবিক সময় পাটুরিয়া থেকে শ্যামলীতে আসছে একটি বাসের সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। এখন শুনছি নবীনগর, সাভার—সব জায়গাতেই যানজট। এরপর গাবতলী পশুর হাটের কারণে যানজট তো আছেই। তাই আজকে কখন যে বাসের দেখা পাব আর সাতক্ষীরা যেতে পারব বুঝতে পারছি না।’
শুধু একে ট্রাভেলস নয়, শ্যামলীতে সুন্দরবন, কে লাইন, সংগ্রাম, সাতক্ষীরা এক্সপ্রেসের কাউন্টারগুলোতেও একই অবস্থা। দক্ষিণবঙ্গের এসব পরিবহনের সকালে নির্ধারিত একটি বাসও ঢাকা ছেড়ে যায়নি। গতকাল রাতের বাসগুলো সকালে কাউন্টারে এসে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের নিয়ে নির্ধারিত গন্তব্যে রওনা হয়েছে।
সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস ঢাকা কাউন্টারের ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবারের চেয়ে আজকের অবস্থা কিছুটা ভালো। তবে সকালবেলার নির্ধারিত বাসগুলোর সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ছয়টার বাস ছাড়বে দুপুর ১২টার দিকে, ৭টার বাস ছাড়বে দুপুর সাড়ে ১২টায়, আর আটটার বাস ঢাকা ছাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আজ বেলা একটায়।
ফেরি সমস্যা না থাকলেও উত্তরবঙ্গের বাসগুলোর যাত্রীদের একই অবস্থা হয়েছে। রাজধানীতে গাবতলীতে এসব পরিবহনের যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, টাঙ্গাইলে দীর্ঘ যানজট। যানজট পেরিয়ে বাসগুলো আসছে একটু দেরি করে।