পেট্রল ঢেলে ঘরে লাগানো আগুনে পুড়ে মরল শিশু, দগ্ধ মা
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় শাজেনূর বেগম (৩০) নামের এক নারীর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শাজেনূরের ঘরেও আগুন লাগানো হয়। এতে পুড়ে মারা গেছে শাজেনূরের ১০ বছরের মেয়ে সখিনা আক্তার।
শাজেনূর বলেছেন, তাঁর সাবেক স্বামী বেলাল হোসেনসহ কয়েকজন তাঁর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর ঘরেও আগুন দেন তাঁরা।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এই আগুন লাগানো হয়। পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শাজেনূরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ শাজেনূরের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে দগ্ধ শাজেনূর প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘরে আগুন দেখে আমি বাইরে এলে আমার দ্বিতীয় স্বামী (সম্প্রতি তালাক হয়েছে) বেলাল হোসেনসহ কয়েকজন লোক আমাকে জাপটে ধরে পেট্রল ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
প্রতিবেশী আব্বাছ আকন, মো. আলমসহ স্থানীয় কয়েকজন জানান, রাত দুইটার দিকে চিৎকার শুনে তাঁরা দৌড়ে যান। এ সময় ঘরে আগুন জ্বলছিল। ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘর পুড়ে যায়। ওই ঘর থেকে সখিনার পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। আগুন থেকে বাঁচতে শাজেনূর ঘর থেকে বাইরে এলে তাঁর শরীরে পেট্রল দিয়ে আগুন দেয় বেলাল হোসেনসহ কয়েকজন। এতে শাজেনূরের শরীর আগুনে পুড়ে যায়।
সখিনা শাজেনূরের প্রথম স্বামী মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মো. জিয়া উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, শাজেনূরের শরীরের ৮০ ভাগেরও বেশি অংশ পুড়ে গেছে। তাঁর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সিকদার বলেন, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ও পাথরঘাটার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।