ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে কারাগারে গিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের কাছে সম্পদবিবরণীর তথ্য ফরম তুলে দিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক বজলুর রশীদ আখন্দ প্রথম আলোকে বলেন, দুদক কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে কয়েক দফা কারাগারে গিয়ে আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সম্পদের খোঁজখবর নিয়েছেন। সবার কাছে দুদকের সম্পদবিবরণীর ফরম পৌঁছানো হয়েছে। কারা আইন মেনে পূরণকৃত এসব ফরম দুদকের হাতে পৌঁছানো হবে।
কারাগার সূত্র জানায়, গতকাল বন্দীর সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ১৮৫। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ ইয়াবা মামলার আসামি। আত্মসমর্পণ করা ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে তিনজনকে মামলার সাক্ষ্য দিতে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা সবাই কক্সবাজার কারাগারে।
কারাসূত্র জানায়, আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠানো ফরমে স্বাক্ষর করেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১–এর উপপরিচালক মাহবুবুল আলম। সাত কার্যদিবসের মধ্যে দুদক সচিব বরাবর তাঁদের এবং তাঁদের স্ত্রীদের, নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও অর্জনের বিবরণী পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর অর্জিত সম্পদের বিষয়ে গোপনীয়ভাবে অনুসন্ধান করছে রাষ্ট্রের চারটি সরকারি সংস্থা। এর একটি দুদক। অপর তিনটি সংস্থা হলো সিআইডি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ইন্টেলিজেন্স বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি লন্ডারিং ইন্টেলিজেন্স বিভাগ।
আত্মসমর্পণ করা ব্যক্তিদের মধ্যে বিতর্কিত সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির ছোট তিন ভাই, এক ফুফাতো ভাই, এক মামাতো ভাই, এক ভাগনেসহ অনেকে রয়েছেন।