মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি খুলনা বিএনপির
‘সরকারের নিষ্ক্রিয়তা, রাষ্ট্র পরিচালনায় অদক্ষতা ও অযোগ্যতাকে নিদারুণ ব্যর্থতা’ হিসেবে অভিহিত করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি করেছে খুলনা মহানগর বিএনপি। আজ শনিবার খুলনা মহানগর বিএনপির এক সভায় ওই দাবি করেন দলটির নেতারা। নগরের কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সাংগঠনিক সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সরকার তার দায়িত্ব ও কাজের পরিধি ভুলে গেছে। রাজধানীকে যানজটমুক্ত করতে, ওয়াসার পানি পানের উপযোগী করতে, নদী-খাল দখলমুক্ত করতে, খাদ্যপণ্য ভেজাল ও বিষমুক্ত করতে, নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে, সব বিষয়ে হাইকোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিচ্ছে। এতেই প্রমাণিত হয়, ‘এই মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী সরকার ব্যর্থ ও অকার্যকর।’ তাঁরা সরকারকে ব্যর্থ দাবি করে পদত্যাগ ও অবিলম্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
ধানের দাম কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, ধানের দাম না পেয়ে ক্ষোভে কৃষক খেতেই ধান পুড়িয়ে দিচ্ছেন। জেলায় জেলায় রাস্তায় ধান ছিটিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ করছেন। সরকার কম দামে মিল মালিকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করায় লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। সভা থেকে প্রতি জেলায় ধান ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানানো হয়।
সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলশ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের দাবি জানান বিএনপির নেতারা। তাঁরা বলেন, পাটকলশ্রমিকদের মজুরি ভাতা বকেয়া থাকায় অর্ধলক্ষাধিক পরিবারে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। পাটকলশ্রমিকেরা ন্যায্য দাবিতে প্রথম রোজা থেকে তীব্র দাবদাহের মধ্যে প্রতিদিন রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করছেন।
ন্যায়সংগত দাবি পূরণ না হওয়া এবং বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও সরকার ওয়াদা খেলাপ করছে দাবি করে সভা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শ্রমিকদের দাবি পূরণ করতে বিজেএমসি ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকারকেই বহন করতে বলে হুঁশিয়ার করা হয়।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে ৭ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে নগর বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং অসহায় দুস্থদের মাঝে তবারক বিতরণ।