নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিকের কারখানার বিরুদ্ধে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান অনেকটা হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
‘আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা নিরসনে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা ও নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা)।
ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে বৃষ্টির পানি অপসারণের নালাগুলো পরিষ্কার করেছে ডিএসসিসি। এসব নালা পরিষ্কার করার সময় লাখ লাখ প্লাস্টিকের বোতল ও পলিথিন পাওয়া গেছে। এগুলোর কারণে ড্রেনে পানি আটকে যায়। ফলে নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অথচ এসব কারখানার বিরুদ্ধে ৫ হাজার টাকার বেশি জরিমানা বা শাস্তির বিধান নেই। এখন প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়ানোর সময় এসেছে। এ বিষয়ে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি এসব বিষয়ে নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এক ঘণ্টার বেশি অতিমাত্রায় বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে বা পানি জমে যায়। কারণ, পানি নামার খালগুলো দখল হয়ে গেছে। নিম্নাঞ্চলগুলো বালু দিয়ে ভরা হয়ে গেছে, অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে ভারী বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সাঈদ খোকন বলেন, কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে ৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হলে নালাগুলো কাজ করে না। তাই এবার অতিবর্ষণে জলাবদ্ধতা হবে না এটা শতভাগ বলা যাবে না। তবে জলাবদ্ধতাকে একটা সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনতে কাজ করছে ডিএসসিসি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারী বর্ষণজনিত জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যদি মনে করে এই দায়িত্ব সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হবে, সেটি নিতে ডিএসসিসি প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে ডিএসসিসি নিজ উদ্যোগে শান্তিনগর, পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের জলাবদ্ধতা নিরসন করা হয়েছে। এ এলাকা দুটিতে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে জলাবদ্ধতা হতো।
ডুরার সভাপতি সাংবাদিক মশিউর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন। সভায় সংগঠনটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।