কালো চালের কাব্য
>কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মনাগ্রামের আদর্শ কৃষক মঞ্জুর হোসেন কালো চালের ধান চাষ করে আবারও তাক লাগিয়েছেন। অত্যন্ত পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত দামি এই চালের ধান বাণিজ্যিকভাবে সফল চাষ হওয়ার কারণে কৃষি অঙ্গনে দেখা দিয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। গত বছর অল্প জায়গায় পাঁচ জাতের কালো চালের ধান চাষ করেন এই কৃষক। পরবর্তী সময়ে সেই ধান থেকে বীজ সংগ্রহ করে এ বছর আরও বেশি চাষ করেছেন। এ বছর তিনি সাত জাতের কালো চালের ধান চাষ করেছেন। অনেক দামি ও দুর্লভ এই চালের ধান রোপণ করে কৃষকেরাও অর্থনৈতিকভাবে প্রচুর লাভবান হতে পারবেন বলে দাবি করেছেন কৃষক মঞ্জুর হোসেন।ব্ল্যাক রাইস চাষাবাদ অন্যান্য আধুনিক ধান চাষের মতোই। এতে কোনো অতিরিক্ত সার বা পানির প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় না আলাদা কোনো পরিচর্যার। দুই বছর আগে বেগুনি পাতার ধান চাষ করে সুনাম অর্জন করেন এই কৃষক। এ বছর প্রায় দুই একর জমিতে বেগুনি পাতার ধানের সঙ্গে সাত রকমের কালো চালের ধান রোপণ করে সফলতা পেয়েছেন। কয়েক দিন পরই এই ধান কাটা শুরু হবে। কিছুদিন আগের শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হলেও ফলন এখনো ভালো বলে জানিয়েছেন ওই কৃষক। তিনি, এ বছর ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারত ও চীনের কালো চালের ধান রোপণ করেছেন। এই ধান মাড়াইয়ের পর আবার লাগানো হবে কালো চালের ধান। বীজতলাতে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে ধানের চারা।