নিখোঁজের তিন দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের তিন দিন পর গত শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের গজারিয়াপাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি হলেন গাজীপুরের গজারিয়াপাড়া এলাকার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫০)।
২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোশারফ হোসেন জানান, আলেয়া বেগম ৯ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। সম্ভাব্য সব স্থানে তাঁকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর স্বামী জসিম উদ্দিন ১০ এপ্রিল গাজীপুর মহানগরের সদর থানায় জিডি করেছেন। শুক্রবার দুপুরে এলাকাবাসী স্থানীয় একটি পুকুরে আলেয়ার লাশ দেখতে পেয়ে সদর থানা ও র্যাব অফিসে খবর দেন। বিকেলে সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর লাশটি উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কেউ হত্যার পর তাঁকে ওই পুকুরে ফেলে রেখে গেছে।
গাজীপুরের পোড়াবাড়ি র্যাব-১-এর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, তাদের প্রতিবেশী ও স্বজনদের সঙ্গে ন্যাশনাল পার্কে দোকান পরিচালনা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই বিরোধের জের ধরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জসিমের ছেলেবউ ইসরাত জাহান লিজা (২৩) এবং লিজার দুই মামা আমির হোসেন (৩৫) এবং নূর হোসেনকে (৩২) র্যাব ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে।
নিহত নারীর স্বামী জসিম উদ্দিনের দাবি, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ন্যাশনাল পার্কের দোকানের ব্যবসা নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে লিজার কথা–কাটাকাটি হয়। পরে লিজা ওই দিন তাঁর মামা আমির হোসেন ও নূর হোসেনকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা জসিম উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী আলেয়াকে পার্কের দোকানের ব্যবসা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। তা না হলে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা।
সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র জানান, আলেয়ার দেহ পচে গেছে। তার দেহে আঘাতের চিহ্ন বোঝা যাচ্ছে না। তবে ময়নাতদন্তের পর মারা যাওয়ার ধরন ও প্রকৃতি বোঝা যাবে।