তীর-প্রথম আলো কৃষি পুরস্কার আজ
খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উদাহরণ। এই অর্জনের নেপথ্যে যেসব কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী ও উদ্যোক্তার ভূমিকা, তাঁদের সম্মাননা পুরস্কার দিতে যাচ্ছে তীর–প্রথম আলো। আজ শনিবার বিকেল চারটায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় আটজন কৃষককে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। আর কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানী ও সংগঠক কাজী এম বদরুদ্দোজাকে দেওয়া হবে আজীবন সম্মাননা।
তীর-প্রথম আলো কৃষি পুরস্কার ২০১৮–এর পুরস্কার বিতরণী পর্বে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক এম এ সাত্তার মণ্ডল, সিটি গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ হাসান। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন খাতের কৃষি সংগঠকেরা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
প্রথমবারের মতো তীর–প্রথম আলো কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্তদের নির্বাচন করেছেন বিচারকমণ্ডলী। দেশের খ্যাতনামা নয়জন কৃষিবিদ, বিজ্ঞানী ও সংগঠক বিচারক হিসেবে ছিলেন। উন্মুক্ত আবেদনের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই হওয়ার পর জুরিবোর্ড চূড়ান্ত পুরস্কারের জন্য নাম নির্বাচন করে। পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত আটটি বিষয় ছিল: সেরা কৃষি উদ্ভাবন, সেরা কৃষি উদ্যোগ (ব্যক্তি), সেরা নারী কৃষক (নারী), সেরা উদ্যানচাষি, সেরা খামারি (গরু), সেরা খামারি (মৎস্য), সেরা খামারি (পোলট্রি) ও সেরা কৃষি উদ্যোগ (প্রতিষ্ঠান)।
এই পুরস্কারের জন্য ২০১৮ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত প্রথম আলো পত্রিকা ও অনলাইনে মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়। ৫৬৫টি মনোনয়ন থেকে প্রথম ধাপে ১৩৬টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৪৯টি মনোনয়ন বাছাই করা হয়। এগুলো থেকে ২৪টি সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করা হয়। এসব প্রস্তাব গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিচারকদের চূড়ান্ত সভায় উপস্থাপন করা হয়। বিচারকমণ্ডলী এসব প্রস্তাব থেকে আটটি ক্যাটাগরিতে আট সেরা উদ্যোগ ও আজীবন সম্মাননা চূড়ান্ত করেন।
প্রথম আলো তার জন্মলগ্ন থেকে দেশের কৃষি খাতের নানা দিক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। দেশের সফল কৃষক, নতুন উদ্ভাবন, বিজ্ঞানে নতুন আবিষ্কার থেকে শুরু করে কৃষি খাতের ঝুঁকি ও সমস্যাগুলো তুলে এনেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথমবারের মতো তীর–প্রথম আলো কৃষি পুরস্কার চালু করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হবে।