টেকনাফে গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যু
কক্সবাজারের টেকনাফে লেদা রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের গুলিবিদ্ধ দলনেতা (মাঝি) আবদুল মতলব (৬৯) গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা গেছেন। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নিহত ব্যক্তির লাশ টেকনাফে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সহকারী ও লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের ইনচার্জ মো. শাহাজাহান।
শাহাজাহান বলেন, মতলব টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের সি ব্লকের বাসিন্দা। নিহত মতলব একই শিবিরের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি শরণার্থী হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে সপরিবারে বসবাস করতেন।
টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় গত রোববার রাতে আবদুল মতলবকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা রোহিঙ্গা ডাকাত ও ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে তিনি দাবি করেন।
একই শরণার্থীশিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, অস্ত্রধারীরা সভাপতি আবদুল মতলবকে গুলি করেন। তাঁর শরীরে কয়েকটি গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।
২৪ মার্চ লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের তিন রাস্তার মাথায় সি-২৪ ব্লকে রাতে শিবিরের প্রহরীদের দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে মোহাম্মদ হোসেন নামের একজন রোহিঙ্গার পানের দোকানে বসে ছিলেন আবদুল মতলব। এ সময় হঠাৎ করে একদল অস্ত্রধারী গিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে গেলে অস্ত্রধারীরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত রোহিঙ্গা শিবিরের আইএমও পরিচালিত একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর হয়।